আজ রোজ বৃহস্পতিবার, ৩০ আগস্ট ২০১৮, ১৫ ভাদ্র ১৪২৫, ১৮ জিলহজ ১৪৩৯

১ নভেম্বর জেএসসি, ১৮ নভেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী

বিশেষ প্রতিনিধি :- মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

Read More  

থানা ঘেরাও, চাপে মুক্ত ৮৮ শিক্ষার্থী

থানা ঘেরাও, চাপে মুক্ত ৮৮ শিক্ষার্থী

Read More  

এক সপ্তাহেই জমা পড়েছে সাড়ে ৫ কোটি টাকা

বিশেষ প্রতিনিধি : মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

Read More  
কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতির কার্যক্রম কতদূর?

কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতির কার্যক্রম কতদূর?

কওমি সনদের সরকারি স্বীকৃতির কার্যক্রম কতদূর?

Read More  
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের শেষে রহমতুল্লাহি আলাইহি যোগ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ      আওয়ামী ওলামা লীগ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের শেষে রহমতুল্লাহি আলাইহি যোগ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামের শেষে রহমতুল্লাহি আলাইহি যোগ করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী ওলামা লীগ।

Read More  

মংলা ও রামপালে গ্রাহকদের ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও চলন্তিকা

মংলা ও রামপালে গ্রাহকদের ৩ কোটি টাকা নিয়ে উধাও এনজিও চলন্তিকা

Read More  
বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ৪ শিক্ষার্থী নিহত

বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ৪ শিক্ষার্থী নিহত


বাসচাপায় রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের ৪ শিক্ষার্থী নিহত  
                                                                                                   


বিশেষ প্রতিনিধি :- মাওরানা সাইফুদ্দিন মানিক
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসের চাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চার শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। ডিএমপির ট্রাফিক উত্তরের বিমানবন্দর জোনের সহকারি কমিশনার শচিন মৌলিক চ্যানেল আই অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন: জাবালে নূর (ঢাকা মেট্রো-ব-১১-৯২৯৭) পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় র‌্যাডিসন ব্লু হোটেলের সামনের সড়কের ঘটনাস্থলে কয়েকজন মারা গেছে, আর ৮/১০ জনের আহতের খবর পেয়েছি। বিক্ষুব্ধ জনতা বাসটি ভাঙচুর করেছে। জানা যায়, রাস্তা পার হওয়ার জন্য অপেক্ষার সময় জাবালে নূর নামের একটি বাস তাদের চারজনকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে সবাই মারা যায়। নিহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের তিনজন ছাত্র এবং একজন ছাত্রী ছিল। রোববার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এই ঘটনার পর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা বেরিয়ে এসে রাস্তা আটকে বিক্ষোভ ‍শুরু করে। এ সময় সেখানে বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুরের শিকার হয়। বিক্ষোভের কারণে ওই সড়কের যানবাহনকে অন্য সড়ক দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে থাকা পুলিশ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছেন। ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ চ্যানেল আই অনলাইনকে জানিয়েছে: সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি বিমানবন্দর সড়কে জাবালে নূর পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় অন্তত চার জন নিহত হয়েছে। নিহতরা শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। তবে নিহতদের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি।



 দেশী পর্নষ্টার হিজরা রেশমী এলন শত শত মুসলিম যুবককে দিশেহারা নোংরা জগতে প্রবেশ ও দেশের মুসলিম সমাজকে রক্ষার জন্য  এই বেহায়া হিজরা মেয়েকে গ্রেফতার করা  ও ফাসি দেওয়ার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে দেশের সকল ওলামা কেরামের অনুরোধ করেছেন । 
 
বিশেষ প্রতিনিধি: মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক
এই হিজরা রেশমা প্রতিদিন ইউটিউবে ফেইচ বুকে গুগলে নিজের মোবাইল নম্বর, নিজের শারিরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ দেখিয়ে মুসলিম যুব সমাজ কে নোংরা কাজে বাধ্য করছে । বিশেষ করে ফেইচবুকে ইউটিউবে সরাসরি লাইভ এসে নোংরা ভিডিও আপলোড করছে । আমাদের দেশের মা বোনরা কেহ এ ক্ষতি থেকে নিরাপদ নয় । এ নোংরামিতে সে কারো ছেলে কারো বাবা কারো স্বামী কারো অবিবাহিত যুবক নোংরা ব্যভিচারী কাজে লিপ্ত হচ্ছে। এর ফলে সমাজে চুরি ডাকাতি ছিনতাই রাহাজানি অন্যায় অবিচার দিনে দিনে বেড়ে  চলছে । এই হিজরা রেশমি এলন আল্লাহ রাসুলকে গালিগালাজ করছে । সে প্রতিদিন নোঙরা অশ্লীল ভিডিও আপলোড করে দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র‌্যাব,পুলিশ সহ সকল বাহিনীকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে  যাচ্ছে । দেখা গেছে, গণমাধ্যম সরব হলেই কেবল ঘটনাগুলো সামনে আসছে। তবে যতটুকু গণমাধ্যমে প্রকাশ পায় সে চিত্রও ভয়াবহ। গত সাড়ে ৫ বছরে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক) সারাদেশে ধর্ষণের যে চিত্র তুলে ধরেছে তা রীতিমতো চমকে ওঠার মতো। তাদের দেয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত সাড়ে ৫ বছরে দেশে ৫ হাজার ২৪৮টি ধর্ষণ ও গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা (বিএমবিএস) বলছে, গত ৬ মাসে ১৪১ নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ১৪ জনকে আর গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ৪৩ নারী।
শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থা বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরাম বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসে শুধুমাত্র শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৯৪টি। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৬ জন শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৮ শিশুকে আর ৩ জন শিশু ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে আরো ২৮ শিশু। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ পরিসংখ্যান গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নির্ভর। এর বাইরের চিত্র আরো ভয়াবহ।
আসকের দেয়া তথ্যানুযায়ী, সাড়ে ৫ বছরে গড়ে দিনে প্রায় ৩টি করে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এই সময়ে ৩৭৩ নারী ও শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। আর ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে ৫৬ জন। সংস্থাটির দেয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০১২ সালে ১১৪৮ জন নারী ও শিশু ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, ৯৮ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১৪ জন ধর্ষণের অপমাণ সহ্য না করতে পেরে আত্মহত্যা করেছে। ২০১৩ সালে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৯৯৮ জন, ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছে ৮৭ জন আর একই কারণে আত্মহত্যা করেছে ১৪ জন। ২০১৪ সালে ৭০৭ জন ধর্ষণ-গণধর্ষণের শিকার হয়েছে, ৬৮ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং ১৩ নারী-শিশু ধর্ষণের কারণে আত্মহত্যা করেছে। ২০১৫ সালে ধর্ষিত হয়েছে ৮৪৬ জন, খুন করা হয়েছে ৬০ ধর্ষিতাকে এবং আরো ২ জন আত্মহত্যা করেছে। ২০১৬ সালে ৭২৪ নারী-শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে, ৩৭ জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে এবং একই কারণে আত্মহত্যা করেছে ৮ জন।

বাংলাদেশ শিশু অধিকার ফোরামের দেয়া পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত সাড়ে ৫ বছরে ১৭১৬ শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এর মধ্যে ২০১২ সালে ৮৬, ২০১৩ সালে ১৭০, ২০১৪ সালে ১৯৯ জন শিশু ধর্ষিত হয়েছে। অতীতে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২০১৫ সালে ৫২১ জন শিশু এই নৃশংসতার শিকার হয়েছে। গত বছর ধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৪৬ জন শিশু। আর চলতি বছরের প্রথম ৬ মাসেই শিশু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৯৪টি। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ৪৬ জন শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ২৮ শিশুকে আর ৩ জন শিশু ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছে। এছাড়া ধর্ষণ চেষ্টার শিকার হয়েছে আরো ২৮ শিশু।
তবে এই পরিসংখ্যান যত ভয়াবহ-ই হোক এটি বাস্তবে ঘটে যাওয়া ঘটনার খণ্ডিত চিত্র মাত্র। সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহকারীরা বলছে, এ পরিসংখ্যান মূলত গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ নির্ভর। এছাড়া কেউ কেউ তাদের স্থানীয় প্রতিনিধিদের মাধ্যমেও তথ্য সংগ্রহ করেন। তবে একটি বড় অংশই থেকে যায় খবরের আড়ালে। এ সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ঘটনা পর্যালোচনা করে দেখা যায়, একই ব্যক্তি একাধিক নারীকে ধর্ষণ করেছে। সামনে এসেছে মাত্র একটি। এরপর তদন্তে বা অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে একাধিক ধর্ষণের ঘটনা। তবে পরিসংখ্যানে একটি ঘটনাই যোগ হয়েছে। আবার অনেক ঘটনা প্রকাশই পায় না। ফলে সেগুলো আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। ধর্ষণকারী সমাজের প্রভাবশালী হওয়ায় ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে। অনেক ক্ষেত্রে স্থানীয়ভাবে আপস-মীমাংসা হয়ে যাচ্ছে। অনেক ঘটনায় মামলা হচ্ছে না বা সংশ্লিষ্ট থানা মামলা নিচ্ছে না।                                                

                                                                         হজ ফ্লাইটের আট হাজার টিকিট এখনও অবিক্রীত
চলতি বছরের হজযাত্রার নবম দিনে রোববার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের কয়েকটি ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। এতে সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের কিছুটা দুর্ভোগের শিকার হতে হয়েছে। তবে বিমানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সৌদি আরব থেকে যথাসময়ে বিমান ঢাকায় না পৌঁছানোসহ বিভিন্ন কারণে কয়েকটি ফ্লাইটের ‘শিডিউল রিভাইস’ করা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট হজযাত্রীদের আগেই জানিয়ে দেওয়ায় কোনো সমস্যা হয়নি।
এদিকে ২৭ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিমানের বিভিন্ন হজ ফ্লাইটের ৮ হাজার টিকিট এখনও অবিক্রীত রয়েছে বলে জানা গেছে। যথাসময়ে এসব টিকিট বিক্রি না হলে ফ্লাইট বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে বিমান কর্তৃপক্ষ। এমনকি অনেক হজযাত্রীর সৌদি আরব যাওয়া নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। বিমানের পাশাপাশি সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্সেরও বেশ সংখ্যক টিকিট অবিক্রীত আছে বলে জানা গেছে।
সূত্র মতে, এ বছর বাংলাদেশ থেকে মোট ১ লাখ ২৬ হাজার ৭৯৮ জন হজ পালন করতে সৌদি আরব যাবেন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ৬ হাজার ৭৯৮ জন আর বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় যাবেন ১ লাখ ২০ হাজার। এবার বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৫২৮টি এজেন্সি হজের কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ১৮৭টি ফ্লাইট ৬৪ হাজার ৯৬৭ জন এবং সৌদি এয়ারলাইন্সের ১৮৮টি ফ্লাইট ৬১ হাজার ৮৩১ জন হজযাত্রী পরিবহন করবে। ১৪ জুলাই থেকে হজযাত্রীদের সৌদি আরব যাওয়ার ফ্লাইট শুরু হয়েছে। রোববার পর্যন্ত দুটি এজেন্সির শতাধিক ফ্লাইটে ৪০ হাজারের বেশি হজযাত্রী এরই মধ্যে সৌদিতে পৌঁছেছেন। হজের শেষ ফ্লাইট ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে ১৫ আগস্ট।
রোববার বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, ২৭ জুলাই থেকে ১০ আগস্ট পর্যন্ত বিভিন্ন ফ্লাইটের ৮ হাজার হজযাত্রীর টিকিট এখনও অবিক্রীত রয়েছে। তাই ঠিক সময়ে টিকিট না কাটলে ফ্লাইট বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে। কারণ এ বছর সৌদি আরব অতিরিক্ত কোনো সøট দেবে না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছে।
এ বিষয়ে হাবের মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, বিমানের কত টিকিট অবিক্রীত আছে তা আমি জানি না। তবে হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্ট নিয়ে জটিলতার কারণে হয়তো অনেকে টিকিট কাটেনি। এখন এটির সমাধান হয়ে গেছে। সবাই টিকিট কাটবে বলে আশা করি।
শনিবার রাতে এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্মমন্ত্রী অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী ২১ জুলাই পর্যন্ত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬ হাজার ৪২৭ জন এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৬১ হাজার ২৫ জনসহ মোট ৬৭ হাজার ৪৫২ জন হজযাত্রীর ভিসা পাওয়া গেছে। মোট ৫১১টি হজ এজেন্সির মোট ১ লাখ ৫ হাজার ৪৪২ জন হজযাত্রীর বিপরীতে বিমান বাংলাদেশ ও সৌদি এয়ারলাইন্সের অনুকূলে টিকিট প্রাপ্তির জন্য পে-অর্ডার ইস্যু করা হয়েছে। অবশিষ্ট হজযাত্রীর অনুকূলে টিকিট সংগ্রহের জন্য পে-অর্ডার ইস্যু করতে সংশ্লিষ্ট এজেন্সিগুলোকে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। মন্ত্রীর এ হিসাব অনুযায়ী দুই এজেন্সি মিলে ২১ হাজারের বেশি হজযাত্রীর বিমান টিকিটের জন্য পে-অর্ডার ইস্যু বাকি রয়েছে।
শিডিউল পরিবর্তন : হজযাত্রার নবম দিনে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের দুটি ফ্লাইটের শিডিউল পরিবর্তনের ঘটনা ঘটেছে। এতে ৮ শতাধিক হজযাত্রী দুর্ভোগে পড়েন।
আশকোনা হজ ক্যাম্পে যাত্রার অপেক্ষায় থাকা মুসল্লিরা জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ার কথা ছিল। কিন্তু বিমানটি যথাসময়ে না পৌঁছায় ফ্লাইট ছাড়ার সময় পিছিয়ে বিকালে দেওয়া হয়। এছাড়া আরেকটি ফ্লাইট বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও বিমান ফিরতে দেরি হওয়ার কারণে সেটি রাত ১টার পর ছাড়ার কথা জানায় কর্তৃপক্ষ। আজও বিমানের কয়েকটি ফ্লাইট দেরিতে ছাড়বে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ জানান, শিডিউল বিপর্যয় নয়, কিছু ফ্লাইটের শিডিউল রিভাইস করা হয়েছে। এজন্য আগের সময়ের পরিবর্তে নতুন সময়ে ফ্লাইট ছাড়ছে। শিডিউল রিভাইসের বিষয়টি আগে থেকেই হজযাত্রীদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। সেভাবেই তারা প্রস্তুতি নিচ্ছে। এতে দুর্ভোগের কোনো কারণ নেই।
কোটা খালি থাকার আশঙ্কা : বেসরকারি হজ এজেন্সিগুলোর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আরও ৪ শতাংশ হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করার সুযোগ দিয়েছে। এর আগে ৪ শতাংশ প্রতিস্থাপনের সুযোগ দেওয়া হয়। তবে এতেও এজেন্সিগুলোর চাহিদা পূরণ হবে না বলে জানা গেছে।
শনিবার ধর্ম সচিব মো. আনিছুর রহমান জানান, ৪৯৫টি এজেন্সি ৬ হাজার ৪১৯ জন হজযাত্রী প্রতিস্থাপনের জন্য আবেদন করেছে। অথচ নতুন করে ৪ শতাংশ প্রতিস্থাপনে ৪ হাজার হজযাত্রীও সুযোগ পাবেন না বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। ফলে কয়েক হাজার হজযাত্রীর কোটা খালি থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে হাব মহাসচিব এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম বলেন, আরও ৪ শতাংশ হজযাত্রী রিপ্লেসমেন্টের সুযোগ দেওয়ায় আমরা সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। তবে এরপরও অনেকের রিপ্লেসমেন্ট চাহিদা থেকে যাবে। সেগুলোও যাতে সরকার সমাধানের ব্যবস্থা করে সে দাবি জানাই। তা নাহলে কয়েক হাজার হজযাত্রীর কোটা খালি থাকার আশঙ্কা রয়েছে।

দেশে কুরবানির উপযোগী পশু ১ কোটি ১৬ লাখ

আসন্ন ঈদ-উল- আজহা উপলক্ষে কুরবানি দেওয়ার যোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা সারাদেশে প্রায় ১ কোটি ১৬ লাখ বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ রবিবারের ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোরবানিযোগ্য এসব গবাদিপশুর মধ্যে ৪৪ লাখ ৫৭ হাজার গরু ও মহিষ এবং ৭১ লাখ ছাগল ও ভেড়া রয়েছে।বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গত বছরের মতো এবারের ঈদু-উল-আজহাতেও গবাদিপশুর খামারগুলোতে স্বাস্থ্যহানিকর রাসায়নিক দ্রব্যের ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে ল্যাবরেটরি-পরীক্ষার ব্যবস্থা রাখবে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। এছাড়া প্রাণিস্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর স্টেরয়েড ও হরমোন জাতীয় ওষুধের বিক্রয় ও সরবরাহ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যবস্থা নেবে।এ বছর কুরবানির হাটে পশুর প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য প্রতিটি ছোটহাটে অন্তত ১টি, বড়হাটে ২টি করে এবং ঢাকার গাবতলীহাটে ৪টি মেডিকেল টিম থাকবে। এছাড়া নির্দিষ্টস্থানে কুরবানিকরণসহ ময়লাবর্জ্য যত্রতত্র না ফেলা এবং কুরবানির আগে-পরে ঢাকা সিটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে ঢাকা সিটির দুই কর্পোরেশনের সহযোগিতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সর্বাত্মক ব্যবস্থাগ্রহণ করবে।
অর্থসূচক/ জেজে

সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন ৩৪ নারী ও ৬২ পুরুষ শ্রমিক
  •    
সৌদি থেকে দেশে ফিরলেন ৩৪ নারী ও ৬২ পুরুষ শ্রমিকফাইল ছবিসৌদি আরব থেকে এবার দেশে ফিরলেন ৩৪ নারী এবং ৬২ পুরুষ শ্রমিক। শনিবার রাত সাড়ে ৯টায় এয়ার এরাবিয়ার একটি ফ্লাইটে ১৮ জন এবং রাত সাড়ে ১০টায় সৌদি এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে ১৬ জন নারী ও ৬২ জন পুরুষ শ্রমিক দেশে ফিরে এসেছেন।
বিমানবন্দরের প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
মনিরুল ইসলাম নামে এক কর্মী জানান, শনিবার রাতে দুটি ফ্লাইটে ৩৪ নারী এবং ৬২ পুরুষ শ্রমিক হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন। আমরা প্রবাসী কল্যাণ ডেস্ক থেকে যতটুকু সাহায্য করার করেছি।
জানা গেছে, সৌদি আরবে নিয়োগকর্তাদের নির্যাতনের শিকার হয়ে শূন্য হাতে ফিরেছেন এসব শ্রমিক। এসময় এদের সবার হাতে পুটলি আর চোখে-মুখে হতাশার ছাপ লক্ষ করা গেছে।
উল্লেখ্য, গত ৩ মে ৩৫ জন, ১২ মে ২৭ জন, ১৯ মে ৬৬ জন, ২৩ মে ২১ জন, ২৭ মে ৪০ জন এবং ৩ জুন ২৯ জন,১৮ জুন ১৬ জন এবং ১৯ জুন ২৭ জন এবং ২৬ জুন ২২ জন, ১০ জুলাই ৪২ জন নারী শ্রমিক দেশে ফিরেছেন।
আরএম/এমবিআর

ব্যানারে ‘শিবির ছাত্রলীগ’ লিখে বিক্ষোভ মিছিল করলো স্বয়ং ছাত্রলীগ নেতারা!


 ১৯৪৮ সালের ৪ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ হাতে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ । সেই থেকে এ দেশের আন্দোলন সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছে এই সংগঠনটি। বর্তমানে এই ছাত্র সংগঠনটি এশিয়ার একটি বৃহৎ ছাত্র সংগঠন। অথচ সেই সংগঠনটির নাম বিকৃত করে শনিবার (২১ জুলাই) বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে সাতক্ষীরার কাালিগঞ্জে উপজেলা ছাত্রলীগের ব্যানারে সাবেক জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নুর হোসেন রনি, কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেনের নেতৃত্বে কতিপয় নামধারী ছাত্রলীগ নেতা। যার কারণে সারাদেশের ছাত্রলীগের হাজার হাজার নেতা কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায,শনিবার কতিপয় নামধারী ছাত্রলীগ নেতারা সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এর বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। ওই বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনের ব্যানারে লেখা ছিলো“ কালিগঞ্জ উপজেলা শিবির ছাত্রলীগের সভাপতি এর বহিস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন’। বিক্ষোভ মিছিলের ওই ব্যানারটি স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দের দৃষ্টিগোচর হলে তারা এর প্রতিবাদ করে। কিন্তু বিক্ষোভকারী ওই নেতারা সেটির কোন তোয়াক্কা না করে ওই ব্যানারটি নিয়েই মিছিল করে। শুধু মিছিল করে তারা ক্ষ্যান্ত হয়নি মিছিল শেষে বক্তব্য দেওয়ার সময় তারা একাধিক বার শিবির ছাত্রলীগ বলে স্লোগান দিয়েছে।
সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ ইমরান হোসেন বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পবিত্র নামটি যারা বিকৃত করে মিছিল ,সমাবেশ ও ফেসবুকে ছবি পোষ্ট করতে পারে তারা কখনও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হতে পারে না। এদের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর কোন আদর্শ নেই। এরা সংগঠনের মধ্যে প্রবেশ করে ছাত্রলীগকে ধ্বংস করার মিশনে লেগেছে।
কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শেখ শাওন আহমেদ সোহাগ বলেন, ব্যানারে যারা কালিগঞ্জ উপজেলা ‘শিবির ছাত্রলীগ’ লিখতে পারে তারা কখনও বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হতে পারে না। জামায়াত শিবিরের একটি চক্র কালিগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের নামে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ব্যানারের ওই লেখাটি দেখে সেটি বোঝা যাচ্ছে।
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী নুর হোসেন রনি বলেন, কালিগঞ্জ ছাত্রলীগের সভাপতি শিবির হতে ছাত্রলীগে প্রবেশ করায় আমরা ব্যানারে শিবির ছাত্রলীগ লিখে তার বিরুদ্ধে মিছিল ও মানববন্ধন করেছি। অপর একটি প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ব্যানারে ‘শিবির ছাত্রলীগ’ লেখাটি আমাদের উচিৎ হয়নি। ব্যাপারটি এমন হবে আমরা বুঝতে পারিনি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, বিষয়টি আমি শুনেছি। এমনকি মানববন্ধনের ছবিটাও আমি দেখেছি। তারা যে কাজ করেছে সেটা সম্পূর্ণ সংগঠন বিরোধী। তারা যদি সংগঠনের সাথে জড়িত থাকে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চিরস্হায়ী জাহান্নামী

চিরস্হায়ী জাহান্নামী

আলকোরআনে সরাসরিভাবে যাদেরকেচিরস্হায়ী জাহান্নামী ঘোষনা দেওয়া হয় যারা কোনদিন মুক্তি পাবে না। লেখক:- মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

Read More  
কোরআন রাজনীতির শ্রেষ্ঠ বই। লেখক:- মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

কোরআন রাজনীতির শ্রেষ্ঠ বই। লেখক:- মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

কোরআন রাজনীতির শ্রেষ্ঠ বই। লেখক:- মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

Read More  
বিষয় :-মুনাফিকের পরিচয়, হুকুম,পরিনতি

বিষয় :-মুনাফিকের পরিচয়, হুকুম,পরিনতি

মুনাফিকের পরিচয়, হুকুম,পরিনতি

Read More  
মিরাজের ঘটনা ও ইতিহাস

মিরাজের ঘটনা ও ইতিহাস

লেখক:- মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

Read More  
কুরআন আয়াতের তাফসীর ও হাদিসের ব্যাখ্যা করতে যা জানা জরুরী

কুরআন আয়াতের তাফসীর ও হাদিসের ব্যাখ্যা করতে যা জানা জরুরী

কুরআন আয়াতের তাফসীর ও হাদিসের ব্যাখ্যা করতে যা জানা জরুরী

Read More  
“কোরবানি মানে মনের পশুকে জবেহ বনের পশুকে নয় ,,মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

“কোরবানি মানে মনের পশুকে জবেহ বনের পশুকে নয় ,,মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক

কোরবাণীর নিয়মকানূন , ফজিলত, গুরুত্ব ,করনীয় ,বজনীয় বিস্তারিত আলোচনা

Read More  
আমাকে প্রেমিকের মতো জড়িয়ে ধরো, ছাত্রীকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

আমাকে প্রেমিকের মতো জড়িয়ে ধরো, ছাত্রীকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

আমাকে প্রেমিকের মতো জড়িয়ে ধরো, ছাত্রীকে বলেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক

Read More  
নির্দ্বিধায় টেন্ডারবাজি সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল করুন

নির্দ্বিধায় টেন্ডারবাজি সন্ত্রাস ও মাদক নির্মূল করুন

জেলা প্রশাসকদের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর ২৩ দফা নির্দেশনা

Read More  
জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৮ জেলা প্রশাসকদের প্রধানমন্ত্রীর ২৩ নির্দেশনা

জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৮ জেলা প্রশাসকদের প্রধানমন্ত্রীর ২৩ নির্দেশনা

জেলা প্রশাসক সম্মেলন ২০১৮ জেলা প্রশাসকদের প্রধানমন্ত্রীর ২৩ নির্দেশনা

Read More  
সাভারে দুই শিশুকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

সাভারে দুই শিশুকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

সাভারে দুই শিশুকে ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

Read More  

 ঢাকার আবাসিক হোটেলগুলো যেন এক একটি পতিতালয়!
মদ নারী তাশ এই তিনেই সর্বনাশ। আর এই সর্বনাশা খেলার রমরমা মেলা এখন রাজধানী ঢাকার বেশ কিছু আবাসিক হোটেল। সেখানে সাজানো হচ্ছে নারী দেহের পসরা। প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে এমন রমরমা ব্যাবসা।রাজধানী ঢাকার করওয়ানবাজার, মহাখালী, ফকিরারপুল, মগবাজার, গুলশান, পুরান ঢাকার অসংখ্য আবাসিক হোটেল গুলো পরিণত হয়েছে এইসব কর্মকান্ডের আখরা্য়। রাজধানীর টপটেরররদের চাদাবাজি, মাদক, নারী ব্যাবসা নিয়ন্ত্রিত হয় এই সব হোটেল থেকেই।
গ্রামের সহজ সরল অপ্রাপ্ত বয়ষ্ক মেয়েদের দেহ ব্যাবসায় বাধ্য করানোর অভিযোগও মিলছে হরহামেশাই।
টিভি ক্যামেরার সামনে মুক খুলতে চাননা এই সব হোটেলে কর্মরত কর্মকর্তারা অথবা মালিক পক্ষ। আর এই দেহ ব্যাবসায় জড়িয়ে পরা অসহায় নারীরা জানালেন তাদের জীবণের করুণ কাহিনী। এদের অনেকেই জানান অভাবের তাড়নায় তারা এসেছেন এই পেশায়। আবার অনেকে নিজের অজান্তেই জড়িয়ে পরেছেন এইসব অজামাজিক কাজে। এদের অনেকেই বলেন, হোটেল মালিক তাদের এমন ভাবে ব্যবহার করেছেন যে ছাইলেও তারা এখন আর এই পেশা ছাড়তে পারবেন না।
রাজধানীতে প্রায় প্রতিটি থানা এলাকায় ২৫/৩০টির মতো আবাসিক হোটেল আছে। প্রশাসনের চোখের সামনেই চলছে এমন রমরমা ব্যাবসা। এসব হোটেল থেকে প্রতিমাসে থানা পুলিশ পাচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা। এছাড়াও স্থানীয় ক্ষমতাসীনরাও এসব হোটেল থেকে সাপ্তাহিক, মাসিক চাঁদা নেয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আবাসিক হোটেল মালিকরা মোটা অঙ্কের অর্থ ব্যয় করে থাকেন। টাকা দিয়েই প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন আবাসিক হোটেল মালিকরা।
স্থানীয়দের অভিযোগ প্রশাসনের নাকের ডগা্য় এইসব চললেও প্রশাসন নির্বিকার। মাঝে মধ্যে লোক দেখানো দু’একটি অভিযান চালানো হলেও তা আই ওয়াশ ছাড়া আর কিছুই নয়।
যৌনকর্মীরা জানায়, আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ও বয়-বেয়ারা নির্দিষ্ট কমিশনের ভিত্তিতে খদ্দের যোগাড় করে দেয় তাদের। অনেক পেশাদার যৌনকর্মী অবশ্য নিজেরাই কার্ড বিলি করে। এসব কার্ডে সাধারণত মধ্যস্থতাকারীর মোবাইল নম্বর থাকে। পার্ক, ওভারব্রিজ এলাকায় তাদের তৎপরতা বেশি।
আরেক কৌশল-হারবাল চিকিৎসার নামে ভিজিটিং কার্ড বিতরণ। ফার্মগেট, শাহবাগ, কাকরাইল, মালিবাগ, মতিঝিল, সায়েদাবাদ, গাবতলী এলাকায় এ তৎপরতা বেশি।
দেখা যায়, রাজধানীর আবাসিক হোটেলের সামনে প্রতিদিন অবস্থান করে দালাল চক্র। টার্গেট করা পথচারীকে তারা ডাকে মামা বলে। কাছে এলেই ধরিয়ে দেয় ভিজিটিং কার্ড।
বলাবাহুল্য, এমতাবস্থায় পতিতাবৃত্তি বন্ধকল্পে তাদের পুনর্বাসনের বিকল্প নেই। এই বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া না হলে বড় ধরনের সামাজিক অবক্ষয়ের মুখে পড়তে হতে পারে।

রাজধানী জুড়েই পতিতালয় : ছাত্রী ছদ্মবেশে দেহ ব্যবসায়

আমাদের সবার ঘরের আশে পাশেই পতিতালয়! ছাত্রী, চাকুরে, এনজিও কর্মীর ছদ্মবেশে চলছে পতিতাবৃত্তি। এই সমাজে বাস করছি আমরা! দেহ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়ছে সরকারী বেসরকারী কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরাও।আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যোগসাজস ও রহস্যজনক নীরবতার সুযোগে রাজধানী ঢাকার ৪৯টি থানার প্রায় পৌনে ১শ স্পটে ৪ শতাধিক হোটেল ও ২ সহস্রাধিক বাসা-বাড়ী ও ফ্ল্যাটে চলছে জমজমাট দেহ ব্যবসা। আর এর সাথে সম্পৃক্ত হয়ে পড়ছে বিভিন্ন স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। আর এদের খদ্দের হচ্ছে চাকুরে, পেশাজীবি, ছাত্র সহ সব শ্রেনীর পুরুষ।বারিধারা বনানী ও গুলশান এলাকার দেড় শতাধিক গেষ্ট হাউজে রাতের বেলায় চলে মদ জুয়া ও দেহ ব্যবসা। কাজ হাসিলের জন্য এখানে আয়োজন করা হয় ওম্মা ওম্মা নাইট, থার্সডে নাইট ও ককটেল পার্টি। এসব পার্টিতে দেশী-বিদেশী কলগার্লরা অংশ নেয়।
এছাড়া ৪ শতাধিক হোটেলের পাশাপাশি ২ সহস্রাধিক রেস্তরা, বিউটি পার্লার, ম্যাসেজ পার্লার, ক্লাব, বার, রেষ্ট হাউজ, ফ্ল্যাট ও বাসাবাড়ীতে চলছে দেহ ব্যবসা। জানা যায়, নগরীর ৮৫ ভাগ আবাসিক হোটেলে প্রতিদিন প্রায় ৫ হাজার নারী গণিকাবৃত্তিতে রত।
বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রছাত্রীরাও এখন দেহ ব্যবসায় নেমে গেছে। মূলত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের ফ্ল্যাট বাসা কেন্দ্রিক। তাছাড়া বিভিন্ন পাঁচ তারকা হোটেলে মনোরঞ্জনের কাজে ব্যস্ত থাকে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীরা। গুলশান, নিকেতন, ধানমণ্ডি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় এইরকম প্রায় ১৯ টি ফ্ল্যাট বাড়ির সন্ধান পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে আরেকটি গ্রুপ আছে এসকর্ট (চাহিদামত খদ্দেরের সুবিধাজনক স্থানে) সার্ভিস দিয়ে থাকে।
মিনি পতিতালয় গুলোতে দেহ ব্যবসার পাশাপাশি মাদকদ্রব্যের ব্যবহারও হয় ব্যাপক। হোটেলের আসরে বাংলা মদ থেকে শুরু করে দামী গ্রীন লেবেল, হুইস্কি রয়াল সেলুট ও জীন ভোদকাসহ সবই থাকে। সাধারণ মানুষের চোখে ফাঁকি দিতে হোটেল নাইট এ্যাংগেল থেকে কোক, পেপসী ও আরসি কোলার খালি বোতলে মদ কিনে নিয়ে যায় খদ্দররা।
একদা মসজিদের শহর ঢাকা এখন পতিতালয়ের শহর! দেখার কেউ আছে কি? নাকি সমাজ সভ্যতা সব ধংসের দিকে ঠেলে দেব আমরা? এখনো সময় আছে শক্ত হাতে এসব দমন করার। আর দেরী না করে নৈতিকতা ও ধর্ম শিক্ষা বাড়াতে হবে। নইলে এ সমাজ টিকবে না।


রাজধানীর ২১ হাট  পশুর হাটে র‌্যাব-পুলিশের নিরাপত্তার পরিকল্পনা

পশুর হাটে র‌্যাব-পুলিশের  নিরাপত্তার পরিকল্পনারাজধানীর একটি পশুর হাট-ফাইল ছবিপবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে রাজধানীতে বসবে ২১টি পশুর হাট। হাটগুলোয় কোটি মানুষের সমাগম আর হাজার হাজার কোটি টাকার লেনদেন হবে। তাই সবকিছু মাথায় রেখে এবার রাজধানীর পশুর হাটে নিñিদ্র নিরাপত্তার পরিকল্পনা করছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হাটের শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে এবার সমন্বিতভাবে কাজ করবে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি), আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও র‌্যাব।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সূত্রে জানা গেছে, হাটে যে কোনো ধরনের নাশকতা এড়াতে, হাট ও ব্যাপারিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ইজারাদারদের সঙ্গে বৈঠক করবেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এ ছাড়াও স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পুলিশের উপকমিশনারদের (ডিসি) সঙ্গেও পৃথকভাবে বসার কথা রয়েছে।

ডিএমপির নিরাপত্তা পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রত্যেক হাটে পুলিশের কন্ট্রোল রুম এবং সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। জাল টাকা শনাক্তে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে থাকবে ইলেকট্রিক মেশিন এবং প্রজেক্টর। প্রজেক্টরে জাল টাকা ও অজ্ঞানপাটির্ থেকে নিরাপদ থাকতে পুলিশের নিমির্ত সচেতনতামূলক প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হবে। হাটের গুরুত্বপূণর্ পয়েন্টে সাদা পোশাক ও ইউনিফমের্ থাকবে পুলিশের ১০০ ফিটের ওয়াচ টাওয়ার। দূরবিন হাতে হাটের সাবর্ক্ষণিক চিত্র পযের্বক্ষণ করবেন পুলিশ সদস্যরা। প্রতিবারের মতো এবারও রাজধানীর পশুর হাটগুলোয় কোনো হকার বসতে দেবে না ডিএমপি।

সুষ্ঠু ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও নিবিের্ঘœ হাট পরিচালনায় ইজারাদারদের জন্য বিশেষ নিদের্শনা তৈরি করেছে ডিএমপি। নিদের্শনাগুলো হচ্ছে, জোর করে কোরবানির পশু হাটে না নামানো, নিধাির্রত সময়ের পূবের্ কোরবানির পশু হাটে ঢুকতে না দেয়া, সিটি করপোরেশন কতৃর্ক নিধাির্রত হারের বেশি হাসিল না রাখা, সিটি করপোরেশন এবং জেলা প্রশাসক কতৃর্ক নিধাির্রত চৌহদ্দির বাইরে পশুর হাট না বসানো, নাইটমোডে ছবি ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিসিটিভি স্থাপন, জাল নোট শনাক্তে বুথ স্থাপন, নিধাির্রত হাসিলের তালিকা বড় করে ব্যানারে প্রকাশ্য স্থানে টানানো, হাটে জেনারেটরের ব্যবস্থা রাখা ও পযার্প্ত সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ করা।

এদিকে পশুর হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তার পাশাপাশি ঢাকারপ্রবেশ ও বাহিরপথে নিরাপত্তা জোরদারের পরিকল্পনা নিয়েছে ডিএমপি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির এক কমর্কতার্ বলেন, চামড়া পাচারের আশঙ্কায় ঈদের দিন থেকে পরের ৪-৫ দিন চামড়াবাহী কোনো ট্রাক ঢাকার বাইরে যেতে দেয়া হবে না। তবে বাইরের ট্রাক ঢাকায় ঢুকতে পারবে। এ জন্য ঢাকার ছয়টি বাহির পথে পুলিশের কঠোর নজরদারি থাকবে।

এদিকে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবও হাটকেন্দ্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। র‌্যাবের লিগ্যাল ও মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান বলেন, গরুর হাটে সাধারণত নগদ টাকার সরবরাহ থাকে। এ ছাড়াও অনেকে জোরপূবর্ক এক হাটের গরুর ট্রাক অন্য হাটে নিতে বাধ্য করে, অজ্ঞান ও মলম পাটির্র সদস্যরা এ সময় সক্রিয় থাকে। হাটকে কেন্দ্র করে এ ধরনের কোনো ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে নিরাপত্তা পরিকল্পনা তৈরি করা হয়েছে। ঢাকার হাটগুলোয় র‌্যাবের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হবে। ঢাকার গুরুত্বপূণর্ এন্ট্রি পয়েন্ট, রেলপথ, নৌপথ ও সড়কপথে র‌্যাব সদস্যরা নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মাঠে থাকবে।

আসন্ন ঈদুল আজহায় গাবতলীসহ ২১টি পশুর হাট বসবে। ডিএসসিসির দরপত্র আহŸান করা ১৩টি কোরবানির পশুর হাটের মধ্যে রয়েছে- খিলগঁাও মেরাদিয়া বাজার, উত্তর শাহজাহানপুর খিলগঁাও রেলগেট বাজারসংলগ্ন মৈত্রী সংঘ মাঠ, আরমানিটোলা খেলার মাঠ ও আশপাশের খালি জায়গা, কমলাপুর স্টেডিয়ামের আশপাশের খালি জায়গা, জিগাতলা হাজারীবাগ মাঠ, রহমতগঞ্জ খেলার মাঠ, ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ, পোস্তাগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন খালি জায়গা, দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা, শ্যামপুর বালুর মাঠ, সাদেক হোসেন খোকা মাঠসংলগ্ন ধোলাইখাল ট্রাক টামির্নাল ও সংলগ্ন খালি জায়গা, ব্রাদাসর্ ইউনিয়নসংলগ্ন বালুর মাঠ এবং কামরাঙ্গীরচর ইসলাম চেয়ারম্যানের বাড়ির মোড় থেকে দক্ষিণ দিকে বুড়িগঙ্গা নদীর বঁাধসংলগ্ন জায়গায় হাট বসবে।

এ ছাড়া ডিএনসিসির অস্থায়ী সাতটি পশুর হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে, বাড্ডা ইস্টানর্ হাউজিংয়ের (আফতাব নগর) পূবর্পাশের খালি জায়গা, খিলক্ষেত ৩০০ ফুট সড়ক ও দক্ষিণ পাশের বসুন্ধরা প্রাচীরের মধ্যবতীর্ খালি জায়গা, ভাটারা (সাইদ নগর), উত্তরা ১৫নং সেক্টরের প্রথম গোল চত্বরসংলগ্ন খালি জায়গা, মিরপুর সেকশন-৬ (ইস্টানর্ হাউজিংয়ের খালি জায়গা), মিরপুর ডিওএইচএসসংলগ্ন উত্তর পাশের সেতু প্রোপাটির্ হাউজিংয়ের ফঁাকা জায়গা, মোহাম্মদপুর বুদ্ধিজীবী সড়কসংলগ্ন (বছিলা) পুলিশ লাইনের খালি জায়গায় অস্থায়ী পশুর হাট বসবে।                                                    


 পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়


পর্নোগ্রাফী দেখলে মস্তিষ্ক যেভাবে বদলে যায়
স্নায়ুবিজ্ঞান (Neuroscience) এখন স্বীকার করে যে, মানুষের মস্তিষ্ক অভিযোজন ক্ষমতা সম্পন্ন। অর্থাৎ, অভিজ্ঞতা লাভের মধ্যদিয়ে মস্তিষ্কে পরিবর্তন ঘটে এবং আমরা যা দেখি, শুনি বা জানি, তার সবকিছুর সাথেই মস্তিষ্কের সংযোগ গড়ে ওঠে। দর্শন ক্লাসের আলোচনায় সক্রিয় অংশগ্রহণ থেকে শুরু করে নতুন কোনো শহরের পথঘাট চেনা, এমনকি আপাতদৃষ্টিতে নিষ্ক্রিয়ভাবে বসে থেকে কোনো গান শোনা কিংবা টিভি দেখা — আমাদের প্রতিটি কাজের সাথেই মস্তিষ্কের তাৎক্ষনিক সংযোগ গড়ে ওঠে এবং মানুষ হিসেবে আমরা কে, কেমন, এই সংযোগগুলোই সেটা নির্ধারণ করে দেয়। পর্নোগ্রাফী দেখা একটি নীরব অথচ ভয়ঙ্কর সমস্যা যা মহামারীর আকার ধারণ করেছে। এর মাধ্যমে নারীদের চাইতে পুরুষরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
এই বিষয়টির ক্ষতিকারক দিক সংক্রান্ত অধিকাংশ নিবন্ধগুলোতে বিষয়টি সম্পর্কে সাধারণত মনস্তাত্ত্বিক এবং/অথবা সামাজিক দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়। তবে বক্ষ্যমাণ নিবন্ধে স্নায়ুবিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে পর্নোগ্রাফী দেখার ক্ষতিকর প্রভাবগুলো সম্পর্কে আলোপাত করা হবে।

প্রচলিত যে মডেলটির (model) মাধ্যমে মানুষের শেখা এবং মনে রাখার প্রক্রিয়াটিকে ব্যাখ্যা করা হয়, সেই মডেলটির ভিত্তি হলো সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি (synaptic plasticity)। সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি হলো মস্তিষ্কের সেই ক্ষমতা যার মাধ্যমে অভিজ্ঞতায় সাড়া দিতে মস্তিষ্ক তার নিউরনসমূহের (মস্তিষ্ক কোষ) মধ্যকার সংযোগগুলোর শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কি পরিমাণ এবং কোন ধরণের স্নায়বিক আচরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটবে এবং সেইসাথে কি পরিমাণ নিউরোট্রান্সমিটারের (neurotransmitter – আনবিক গঠন সম্পন্ন স্নায়বিক সংবাহক) নির্গমন ঘটবে, তা নিয়ন্ত্রণ করাও এই ক্ষমতার অন্তর্ভুক্ত। অধিকাংশ মানুষ ডোপামিন সম্পর্কে যা কিছু জানে তা বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যক্তি যেমন, মুহাম্মাদ আলি বা মাইকেল জে. ফক্সের পারকিন্‌সন্‌ (Parkinson) রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে। শরীরে ডোপামিনের কার্যকারিতায় ত্রুটি দেখা দিলে মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়।

মস্তিষ্কের একটি অত্যাবশ্যক নিউরোট্রান্সমিটার হলো ডোপামিন (dopamine)। এর ভূমিকা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি সচেতন অঙ্গসঞ্চালন, অনুপ্রেরণা দান, প্রতিদান দেওয়া, শাস্তি দেওয়া এবং শিক্ষণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে। শিশুদের এডিএইচডি (ADHD – Attention Deficit-Hyperactivity Disorder), বার্ধক্যজনিত স্মৃতিশক্তি হ্রাস (cognitive decline) এবং বিষণ্ণতার (depression) ক্ষেত্রেও ডোপামিনের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

আনন্দ অনুভব, প্রতিদান, শিক্ষণ প্রক্রিয়া ইত্যাদিতে ডোপামিনের ভূমিকা অবিচ্ছেদ্য। কোকেইনের মতো ড্রাগগুলোর কার্যকারিতা ডোপামিনারজিক সিস্টেম (Dopaminergic System) কেন্দ্রিক। এই ড্রাগগুলোর কার্যকারিতার ফলে প্রচুর পরিমাণে ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। ফলে শরীরে “উচ্চমাত্রার শক্তি বা আনন্দ অনুভূতি” সৃষ্টি হয় যা ক্রমেই আসক্তিতে পরিণত হয়। একাধিক গবেষণার ফলাফল অনুযায়ী, ডোপামিন আনন্দের আবহ তৈরি করে, নয়তো প্রত্যক্ষ আনন্দ দানে ভূমিকা রাখে। মস্তিষ্কের বিভিন্ন অঞ্চলের উপর ভিত্তি করে, চরম আনন্দ লাভের মুহূর্তে, নয়তো আনন্দ লাভের পরে, ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। এই নিঃসরণের সময়, ডোপামিন শারীরিক ক্রিয়ার সাথে মস্তিষ্কের নতুন সংযোগগুলোকে আরও বেশি শক্তিশালী (strengthen) এবং দৃঢ় (reinforce) করে যা ব্যক্তিকে পুরনায় ওই আনন্দ লাভের জন্য একই কাজ করতে উৎসাহ যোগাতে থাকে।

পর্নোগ্রাফীর সাথে এর সম্পর্কটা কোথায়? পর্দায় যৌন ক্রিয়াকলাপের দৃশ্য দেখলে যৌন উত্তেজনা তৈরি হয়, যা ডোপামিনারজিক সিস্টেমকে সক্রিয় করে তোলে। কোকেইনের মতো ড্রাগগুলো ঠিক এই কাজটিই করে থাকে। পর্দায় যৌন ক্রিয়াকলাপের দৃশ্য দেখার ফলে মস্তিকে নতুনভাবে তৈরি হওয়া সংযোগগুলো প্রচুর পরিমাণে নিঃসৃত ডোপামিনের দ্বারা আরও বেশি শক্তিশালী হয়। ফলে পর্দায় দেখা দৃশ্যগুলো ক্ষণস্থায়ী স্মৃতিপটে না-গিয়ে — যেক্ষেত্রে দৃশ্যগুলো পর্দা বন্ধ হওয়ার পর মন থেকে মুছে যেতো — ডোপামিনের দৃঢ়ীকরণ (reinforcement) প্রক্রিয়ার কারণে স্থায়ী স্মৃতিপটে প্রবেশ করে। এখানে দৃশ্যগুলো দর্শকের মনে রিপ্লেই মোডে (replay mode – বারবার চোখে ভাসতে থাকে) দৃঢ়ভাবে গেঁথে যায়। এক্ষেত্রে সমস্যার কথা হলো, কোনো কিছুকে যতবেশি স্মরণ করা হবে, মস্তিষ্কে তা ততবেশি স্থায়ী রূপ লাভ করতে থাকবে। স্কুলের ওই দিনগুলোর কথা মনে করে দেখুন — পরীক্ষার পড়া মুখস্ত করতে গিয়ে একটা বিষয় বারবার পুনরাবৃত্তির পর তা মাথায় গেঁথে যেতো!

পর্নোগ্রাফী হলো অলীক কল্পনা (fantasy)। প্রতিটি নতুন দৃশ্যে একজন নতুন নারীকে দেখে দর্শকের ভ্রম জাগে যেন প্রতিবার সে নতুন একজন নারীর সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হচ্ছে। পর্নোগ্রাফীর “তারকা” অভিনেত্রীরা ছবিতে পুরুষদের কাছে নিজেদেরকে মর্যাদাহীন এবং অবমাননাকর যৌনকর্মের শিকারে পরিণত করে। এসব যৌন আচরণ মানসিকভাবে সুস্থ অধিকাংশ মানুষের কাছে সম্পূর্ণরূপে অশ্লীল, জঘন্য। পর্নোগ্রাফীর চিত্রনাট্যের কাজই হলো দুএকটা পরিচিত এবং স্বাভাবিকভাবে যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী আচরণের মাঝে এমন কিছু যৌন আচরণকে ঢুকিয়ে দেওয়া যেগুলো যৌনভাবে সুখকর নয়। আর এভাবেই দর্শক নতুন নতুন যৌন আচরণের সাথে পরিচিত হয়ে থাকে। পর্দা থেকে অবাস্তব কল্পনার পাশাপাশি এক ধরনের তড়িৎচৌম্বক তরঙ্গ (electromagnetic wave) বিচ্ছুরিত হয় যা মস্তিষ্কে রাসায়নিক বিক্রিয়া ঘটায়। ফলে ডোপামিনের নিঃসরণ ঘটে। পরিণতিতে, এক ধরনের বাস্তব অনুভূতির তৈরি হয় ঠিকই, তবে যে আনন্দ এবং তৃপ্তিবোধ তৈরি হয়, তা নিজেকে ধোকা দেওয়া ছাড়া কিছু নয়। ডোপামিন নতুন করে পাওয়া যৌনতৃপ্তি সাথে সাথে মস্তিষ্কের সংযোগসমূহকে শক্তিশালী করে। ফলে যা ঘটে তা হলো, ব্যক্তি তখন তার স্ত্রীকে নিজের অবচেতন মনে জমে থাকা কল্পিত যৌন আচরণে লিপ্ত হওয়ার আহ্বান করে।

মস্তিষ্কে সংঘটিত ঘটনা প্রবাহ খুবই যৌগিক আবার সরলও। পর্নোগ্রাফী দেখার ফলে সিন্যাপটিক প্লাসটিসিটি মস্তিষ্কে নতুন সংযোগ তৈরি করে। ফলে নতুন করে লাভ করা স্মৃতিগুলো সংরক্ষিত হয়ে যায়। এক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা যেহেতু যৌন উত্তেজনার সাথে সম্পৃক্ত, তাই ডোপামিন নিঃসরণের মাধ্যমে নতুন সৃষ্ট সংযোগগুলো বহুগুণ বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে এবং  পর্দায় দেখা দৃশ্যগুলো স্থায়ী স্মৃতিপটে সংরক্ষিত হওয়ার ফলে দুই ধরণের ঘটনা ঘটে :

১) কোকেইন মস্তিষ্কের যে গঠনতন্ত্রকে উদ্দীপ্ত করে, পর্নোগ্রাফীও ঠিক সেই গঠনতন্ত্রকেই উদ্দীপ্ত করে। ফলে আসক্তির জন্ম হয়।২) পুরুষ প্রায়ই তার স্ত্রীর সাথে এসব দৃশ্যের পুনর্মঞ্চায়ন করতে চায় যার অনিবার্য পরিণাম হতাশা। এই পুনর্মঞ্চায়নের প্রত্যাশা পূরণ হবার নয়। কারণ একাধিক নতুন নতুন নারীর পরিবর্তে স্ত্রী শুধু একজন। আরও ভয়ানক বিষয় হলো, এই একজন নারীর যৌন বাচনভঙ্গি, আচরণ, শারীরিক আবেদন ইত্যাদি পুরুষের মনে জমে থাকা ওইসব নতুন নতুন নারীর সাথে কখনোই মিলবে না। হয়তো প্রথম প্রথম দুএকবার পুনর্মঞ্চায়ন বেশ উত্তেজনাকর এবং আনন্দঘন হতে পারে। তবে শীঘ্রই বাস্তবতা এসে হানা দেবে এবং যখন আনন্দ পাওয়া যাবে না, ডোপামিনের নিঃসরণও তখন বন্ধ হয়ে যাবে।

দুঃখজনক হলো, ঘটনার এখানেই শেষ নয়। অবাস্তব এবং কাল্পনা নির্ভর প্রত্যাশার কারণে বাস্তবে যখন হতাশার সৃষ্টি হবে, মস্তিষ্ক তখন ডোপামিনের নিঃসরণ শুধু বন্ধই করবে না; বাস্তবিক অর্থে, এই নিঃসরণ স্তর তখন সর্বনিম্ন স্তরেরও নীচে নেমে গিয়ে বিষণ্ণতার স্তরে গিয়ে পৌঁছবে। ফলে দাম্পত্য জীবনে হতাশা, অতৃপ্তি এবং অশান্তির জন্ম হবে। কারণ স্ত্রীকে সে “যেভাবে প্রত্যাশা করে, সেভাবে পায় না।” অনেক নারী নিজেদেরকে আরও বেশি আবেদনময়ী করার চেষ্টা করা সত্ত্বেও, এমনকি স্বামীদের মনের মতো করে আত্মমর্যাদাহীন, বিকৃতরুচির যৌনকর্মের জন্য নিজেদেরকে স্বামীদের হাতে তুলে দিলেও, পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত স্বামীরা খুব সামান্য সময়ের জন্যই আনন্দ লাভ করবে এবং অল্প সময়েই আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। ফলে সর্বোচ্চ চেষ্টা সত্ত্বেও স্ত্রী নিজেকে অনাকর্ষণীয় এবং আবেগিক দিক থেকে পরিত্যক্তা মনে করবে। অথচ সে জানবেও না যে, পর্নোগ্রাফীর ডোপামিনের সাথে সে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না।

এই সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, মস্তিষ্ক একটি সামগ্রিক সত্ত্বার মতো কাজ করে; এর কার্যকারিতার পরিধি হলো সর্বব্যাপী। ফলে মস্তিষ্কের কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের পরিবর্তন হলে অন্যান্য অংশও প্রভাবিত হয়। পর্নোগ্রাফী দেখার মাধ্যমে আক্ষরিক অর্থেই পুরো মস্তিষ্কের সকল স্নায়বিক সংযোগগুলোর পুনর্বিন্যাস ঘটে। ফলে মস্তিষ্কের অন্যান্য অংশ এবং তাদের কর্মদক্ষতার উপর কেমন প্রভাব পড়ে, তা গবেষণার ভিন্ন একটি ক্ষেত্র যা গভীর মনোযোগের দাবি রাখে।

স্নায়ুবিজ্ঞান পর্নোগ্রাফীতে আসক্ত ব্যক্তিদের সম্পর্কে বেশ পীড়াদায়ক চিত্র তুলে ধরলেও, এটি পুরোপুরি দুঃসংবাদ নয়। যদিও পর্নোগ্রাফী এবং কোকেইন মস্তিষ্কের একই গঠনতন্ত্রকে আক্রমণ করে, তথাপি দুটির পরিণতি পুরোপুরি এক নয়। মস্তিষ্কের সংশ্লিষ্ট গঠনতন্ত্রকে বিষমুক্ত করার জন্য, কোকেইনে আসক্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই একটি সুশৃঙ্খল এবং ধারাবাহিক আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। অন্যথায়, তার জীবনই ঝুঁকিগ্রস্থ হয়ে পড়ে। পক্ষান্তরে, অনেক মানুষ যারা পর্নোগ্রাফী দেখার বাস্তব এবং সুস্পষ্ট ক্ষতির দিক সম্পর্কে জেনে গেছে, তারা কোনো রকম নেতিবাচক মনস্তাত্ত্বিক বিপর্যয়ের শিকার না হয়েই, তাৎক্ষনিকভাবে পর্নোগ্রাফী দেখা বাদ দিতে পারে। এজন্য প্রচণ্ড ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে এবং নিজেকে নানা রকম কর্মকাণ্ডে ব্যস্ত রাখতে হবে। প্রথম প্রথম অতীতের দেখা পর্নোগ্রাফীর মনোযোগ বিনষ্টকারী দৃশ্যগুলো চোখের সামনে ভাসতে থাকবে যা পর্নোগ্রাফী পরিত্যাগের ক্ষেত্রে ব্যক্তির ইচ্ছা এবং উদ্যমের জন্য একটি কঠিন পরীক্ষা। তবে সুখের কথা হলো, পর্নোগ্রাফী দেখার কারণে মস্তিস্কের স্নায়বিক সংযোগগুলোর যেভাবে পুনর্বিন্যাস ঘটেছিল, সেই পুনর্বিন্যাস ঘটানো আবারও সম্ভব। মস্তিষ্ক খুবই কর্মদক্ষ একটি অঙ্গ যা অব্যবহৃত সংযোগগুলো থেকে মুক্ত হতে পারে। ব্যক্তি যতই পর্নোগ্রাফীর সংযোগগুলোকে পুনরুদ্দীপ্ত না-করে থাকবে, মস্তিষ্কের পক্ষে ওইসব সংযোগগুলো পরিত্যাগ করার সম্ভাবনাও তত বেশি। আবার পূর্বের অভিজ্ঞতায় জড়ালে এবং মস্তিষ্ককে যৌন আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিষয়ে ব্যস্ত রাখলে, অনিবার্যভাবেই তা অন্যান্য সংযোগগুলোকে পুনরুদ্দীপ্ত করবে। কর্ম সম্পাদনের জন্য মস্তিষ্কের শুধু সময় এবং পছন্দ প্রয়োজন। ব্যক্তি তার মস্তিষ্কে যে বিষয়টি বারবার সক্রিয় করবে, মস্তিষ্ক সেটিকেই তার পছন্দ হিসেবে গ্রহণ করবে।

Source: http://www.virtualmosque.com/ummah/community/how-watching-pornography-changes-the-brain/

মূল: মোহাম্মাদ গিলান, ইউনিভার্সিটি অব ভিক্টোরিয়া, স্নায়ুবিজ্ঞান
ভাষান্তর ও সম্পাদনা: মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক
সূত্র: কুর'আনের আলো


                                                                                        নামাজের চিরস্হায়ী সময়সুচি
                                                                                               বিজ্ঞাপন
মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক এর নিজস্ব ওয়েব সাইট যাতে রয়েছে
*সুরা ফাতিহার তাফসীর (১-৭)আয়াত.
* সুরা বাকারার তাফসীর (১-১১৩)আয়াত
মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিকের লিখা কোরআনুল কারীমের তাফসীরের গ্রন্থ যা সম্পুর্ন আহলে সুন্নাহ এর আকিদা কে মেনে অতিতে বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থকে অনুসরন করা খন্ড ভিক্তিক লিখা হয়েছে যার মধ্যে ১ম খন্ড রয়েছে সম্পুর্ন ১ম পারা সুরা ফাতিহা, ও সুরা বাকারার ১৪১নংআয়াত পর্যন্ত তাফসীর, ২য় খন্ড রয়েছে সম্পুর্ন ২য় পারা  সুরা বাকারার ১৪১নং আয়াত হতে ২৫২ নং  তাফসীর , আমার নিজস্ব ওয়েব সাইট হতে, ও নিম্নে লিংক হতে ডাওনলোড করতে পারবেন
 তাফসীরুল  কোরআনের ধারাবাহিক খন্ড
 ১ম পারার তাফসীরুল কোরআন -খন্ড ১ম  Download
২য় পারার তাফসীরুল কোরআন -খন্ড ২য়  Doanload
* ইসলামিক অার্টিকেলপএিকায় লিখা ৬০ টি বিষয়ভিক্তিক ইসলামিক অার্টিকেল গুলো. বিষয়বিক্তিক ইসলামি সাহিত্যর বই যাতে শতাধিক অধ্যায় রয়েছে
ইসলামের পরিচিতি -Download
শিল্পী মাওলানা  সাইফুদ্দিন মানিকের নিজের  কন্ঠে গাওয়া  ইসলামী গজলের ৬টি ও কোরআন তেলাওয়াতের ২টি  ভিডিও এলবাম রয়েছে। ইসলামী গজলের এলবামের নাম সমুহ হল
 ১। তুমি কত সুন্দর (১২টি গজল) Doanload
 ২। শিল্পীর সেরা শিল্পী (১২টি গজল) Download
 ৩। চাদের চেয়ে সুন্দর তুমি (১২টি গজল) Doanload
 ৪। রাহমাতাল লিল আলামিন (১৬ টি গজল) Download
 ৫। রমজানের পবিএতা( ৯টি গজল) Doanload
 ৬। মায়ের দোয়া(৬টি গজল)  তেলাওয়াতের এলবাম সমুহুর নাম হল Doanload
 ৭। কলবের প্রশান্তুি আল কোরআন v-1 (সুরা কাহাফ,ওয়াকিয়া, মুলক,আর রাহমান তেলাওয়াত) Download
 ৮। কলবের প্রশান্তি আল কোরআন  v -2 ( সুরা মুলক,ওয়াকিয়া, আর রাহমান তেলাওয়াত ফজিলত ও অর্থ )Download
 উক্ত নামে সার্চ google, youtube channel :-maolanah sayfuddin manik,, tubemate করুন

*১২টি দরসুল হাদিস  লিংক
*১০০ এর অধিক ওয়েবসা্‌টের লিংক ইসলামি নিজস্ব গজলগুলো ,.ইসলামিক নিজস্ব সফটাওয়ারগুলো এ ছাড়া আন্তর্জাতিক সকল বক্তাদের ও মুফাস্সিরগনের মোবাইল নম্বর ও ভিডিওগুলো, ইসলামি হাজার গজল ও তেলাওয়াত ওয়াজ অডিও,কাওমী মাদরাসার ৬০০০ এর অধিক তাফসীর ও হাদিসের, ফতওয়া বই,উসুলের হাদিসের বই পাবেন
আমার নিজস্ব ওয়েবসাইট (আলহামদুলিল্লাহ্ রাবব্লি আলামিন )
http://maolanahsayfuddin.website2.me/
 
মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিকের ইসলামিক আর্টিকেল গুলো পাবেন যে সকল পত্রিকায় তার নাম ও লিংক
দৈনিক ওলামা কন্ঠ   সুরা ফাতিহার তাফসীর  লিংক
সুরা আলে ইমরানের তাফসীর  লিংক

আপনি কি দেশবিদেশের খবরাখবর জানতে চান তাহলে আজই ভিসিড করুন আমাদের পএিকা দৈনিক ওলামাকন্ঠ।
এডিটর :- মাওলানা সাইফুদ্দিন মানিক। সম্পাদক :- কে এম নুহু হোসাইন   http://www.dailyolamakantho.com




পেট থেকে গ্যাস দূর করার সহজ কয়েকটি উপায়

পেট থেকে গ্যাস দূর করার সহজ কয়েকটি উপায়যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়। তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়।
৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে।
৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার।
৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে।
৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে।
৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে।
৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে।
৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়।
১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে।
১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই।
১২. মৌরির পানি : মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না।
এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।



গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে ১০টি ঘরোয়া ওষুধ

গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে ১০টি ঘরোয়া ওষুধআপনি কি প্রায়ই অ্যান্টাসিড ওষুধ খেতে খেতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন? পাকিস্থলির গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণ হলে পেটে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সাধারণত খাবার খাওয়ায় দীর্ঘ বিরতি, খালি পেটে থাকা বা অতিরিক্ত চা, অ্যালকোহল বা কফি পানের কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া মশলাদার খাবার খাওয়া, ভাজা-পোড়া খাবার, খাবার খাওয়ায় অনিয়ম, অতিরিক্ত মদপান, স্ট্রেস, ধুমপান, রাতে ঘুামনোর সময় খাবার খাওয়া, খাবার খাওয়ার পরপরাই শুয়ে পড়া প্রভৃতি কারণেও পেটে গ্যাস হতে পারে। গ্যাসের কারণে পেট ফুলে যাওয়া, বুকে জ্বালা-পোড়া, হেঁচকি ওঠা, ঢেকুর এবং ওগরানোর মতো সমস্যা হতে পারে। তবে এমন ১০টি ঘরোয়া ওষুধ রয়েছে যেগুলো আপনাকে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে চিরদিনের জন্য মুক্তি দিতে পারে।১. কলাএতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা এসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে একটি বাফার বা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলেই আপনার আর কখনো গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হবে না।

২. তুলসি পাতা
তুলসি পাতা পাকস্থলিতে শ্লেষ্মার মতো পদার্থ উৎপাদন বাড়াতে উদ্দীপনা যোগায়। এর রয়েছে শীতলীকরন এবং বায়ুনাশক উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক এসিডের কার্যকারিতা কমাতে সহায়ক। গ্যাসের সমস্যা হলেই ৫-৬টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। অথবা ৩-৪টি তুলসি পাতা সেদ্ধ করে পানিটুকু মধু দিয়ে পান করুন।
৩. দারুচিনি
বেশিরভাগ হজমজনতি সমস্যার ওষুধ দারুচিনি। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় এবং শোষণক্রিয়াকে শক্তিশালি করে। আধা চা চামচ দারুচিনি গুড়ো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর ঠাণ্ডা করে পান করুন। প্রতিদিন এভাবে তিনবার দারুচিনি জুস পান করুন।
৪. পুদিনা পাতা
এসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায় পুদিনা পাতা। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও আছে। যা এসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমায়। কয়েকটি পুদিনা পাতা কুচি কুচি করে একটি পাত্রে পানি নিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানিটুক ছেঁকে ঠাণ্ডা করে পান করুন।
৫. মৌরি বীজ
তাৎক্ষণিকভাবে এসিড কমিয়ে স্বস্তি এন দেয় মৌরি বীজ। খাবার খাওয়ার পর এই বীজ চিবিয়ে খেলে এই উপকার পাওয়া যায়। বদহজম এবং পেট ফাঁপার চিকিৎসায়ও এটি বেশ কার্যকর। আধাকাপ পানিতে কয়েকটি মৌরি বীজ নিয়ে সেদ্ধ করে পানিটুকু পান করুন।
৬. ঘোল
এটি তাৎক্ষণিকভাবে এসিড কমিয়ে স্বস্তি এনে দেয়। এতে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলিতে এসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে। এর সঙ্গে গোল মরিচ যোগ করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে। এতে থাকা ল্যাকটিক এসিড হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে।
৭. লবঙ্গ
এটি পাকিস্থলিতে গ্যাস উৎপাদন প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে আপনি গ্যাসের সমস্যা চিরতরে থেকে মুক্তি পাবেন।
৮. ডাবের পানি
ডাবের পানি পাকস্থলিতে শ্লেষ্মা উৎপাদনে সহায়ক। যা পাকস্থলিকে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে দেহের পিএইচ অ্যাসিডিক লেভেল ক্ষারীয় হয়ে যায়। ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হয়।
৯. ঠাণ্ডা দুধ
ঠাণ্ডা দুধ খেলে পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক এসিড স্থিতিশীল হয়ে আসে। দুধে আছে ক্যালসিয়াম যা পাকস্থলিতে এসিড তৈরি প্রতিরোধ করে। সুতরাং অ্যাসিডিটির সমস্যা হলেই এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করুন।
১০. এলাচ
এলাচ হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং পাকস্থলির খিঁচুনি দূর করতে সহায়ক। এটি অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের কুপ্রভাব দূর করে। দুটি এলাচ গুড়ো করে পানিতে সেদ্ধ করে পানিটুক পান করে নিন।



আপনার লিভার ভালো নেই বুঝবেন যে লক্ষণগুলো দেখে

আপনার লিভার ভালো নেই বুঝবেন যে লক্ষণগুলো দেখেআপনি খুব ভালো করেই জানেন যে লিভার দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যার কাজ হলো দেহে প্রবেশ করা টক্সিন বা বিষ বর্জ্যে রূপান্তরিত করা। যে বর্জ্য পরে প্রস্রাব ও পায়খানার সঙ্গে বের হয়ে আসে। আর এটা খুবই জরুরি একটি কাজ। কেননা খাদ্যের সঙ্গে আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন প্রবেশ করে।তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের কর্মক্ষমতা কমে আসতে থাকে। অথবা কোনো ভাইরাস বা রোগের কারণেও লিভারের কার্যক্ষমতা কমে আসে। ফলে দেহ থেকে যথাযথভাবে টক্সিন বের করে দেওয়ায়ও অক্ষম হয়ে পড়ে সেটি।তখন এসব ক্ষতিকর টক্সিন চর্বি হিসেবে পেটে জমা হয়। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে ফ্যাটি লিভার রোগ সৃষ্টি হতে পারে। লিভার প্রাকৃতিকভাবেই একটি চর্বিবহুল অঙ্গ। আর লিভারে সব সময়ই কিছু না কিছু চর্বি থাকা উচিত।
ফ্যাটি লিভার রোগ হয় তখনই যখন লিভারের চর্বি এর নিজের মোট ওজনের ৫% থেকে ১০% বেশি হয়। যখনই আপনার লিভার টক্সিন নিঃসরণে ভালো মতো কাজ করবে না তখন আপনি ওজন কমানোর জন্য যতই কম ক্যালরি খান না কেন বা যত বেশিই শরীরচর্চা করেন না তাতে কোনো কাজ হবে না।
লিভারই মূলত চর্বি হজমের কাজ করে। আর যখন এটি ঠিক মতো কাজ করবে না তখন চর্বিগুলো অন্ত্র থেকে পিত্ত হয়ে ফের লিভারে এসে জমা হবে।
আসুন জেনে নেওয়া যাক লিভার ভালো না থাকার শীর্ষ লক্ষণগুলো কী…
১. অকারণে ওজন বেড়ে যাওয়া
লিভার যেহেতু চর্বি হজমের জন্য প্রধানত দায়ী সেহেতু এটি যথাযথভাবে কাজ না করলে দেহে চর্বি জমতে থাকে। যার ফলে ব্যাখ্যাতীতভাবে অকারণে ওজন বাড়তে থাকে।
২. অ্যালার্জি
লিভার ভালো থাকলে তা এমন সব অ্যান্টিবডি তৈরি করে যেগুলো অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে। কিন্তু লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে দেহ ওই অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে জমা করতে থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায় আবার দেহ হিস্টামিন উৎপাদন করতে থাকে যা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারক উপাদানগুলো দূর করতে কাজ করে। কিন্তু অতিরিক্ত হিস্টামিন উৎপাদন হলে আবার চুলকানি, ঝিমুনি এবং মাথা ব্যথা হতে পারে।
৩. ক্রমাগত অবসাদ
দেহে টক্সিন জমা হলে তা মাংসপেশির টিস্যুর বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করে। যা থেকে আবার ব্যাথা এবং শারীরিক অবসাদও সৃষ্টি হতে পারে। ক্লান্তি থেকে মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মানসিক অবসাদ এবং ক্ষোভের বিস্ফোরণের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে। লিভার ভালো না থাকার শীর্ষ লক্ষণগুলোর একটি এটি। দেহে অতি উচ্চ মাত্রায় টক্সিন বা বিষ জমা হওয়ারও একটি লক্ষণ এটি।
৪. অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া
বেশি বেশি কাজ করার কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং সেটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন লিভার দেহের অন্যান্য অঙ্গেও তাপ ছড়িয়ে দেয় এবং অতিরিক্ত ঘাম বের করার মাধ্যমে লিভার নিজেকে ঠাণ্ডা করে।
৫. ব্রণ
লিভারে জমা হওয়া টক্সিন দেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে যারে। যা থেকে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে। কার্যক্ষমতা হারানো লিভারের কারণে সৃষ্ট ত্বকের এই সমস্যা ততক্ষণ পর্যন্ত যাবে না যতক্ষণ না পুনরায় লিভারের কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটানো হবে।
৬. দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস
মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পরেও যদি আপনার নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনার লিভারের কোনো সমস্যা আছে। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো না থাকার একটি লক্ষণ এটি।
ফ্যাটি লিভার রোগের চিকিৎসা : ফ্যাটি লিভার রোগ সারানো সম্ভব শুধুমাত্র যথাযথ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে। ড্যান্ডেলিয়ন বা ডেইজি জাতীয় হলুদ ফুলের গাছের মূল, কলা, মিষ্টি আলু, যকৃত এবং আদা ফ্যাটি লিভার রোগ দূরীকরণে বেশ কার্যকর।
সূত্র : বোল্ড স্কাই


শিক্ষাক্ষেত্রে অল্প সময়ে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক |   শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অতি অল্প সময়ে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে। প্রায় শতকরা ১০০ ভাগ এনরোলমেন্ট সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন,  বাংলাদেশও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং খাদ্য ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে।
মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ তিনদিনব্যাপী এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই নয়, কারিগরি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাপানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।জাপানকে বাংলাদেশের খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের সংবাদ মাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতার পরপরই জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ জাপান সম্পর্কে জানার এবং আরো ঘনিষ্ট হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। ২০২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ খ্রিস্টাব্দের দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য জগতের অন্যান্য দেশের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও অর্জন আমাদের কাজে লাগাতে হবে। জাপান এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। জাপান মেধা ও প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত উন্নত দেশে পরিনত হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাপান একটি উদাহরণ।
জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. নাসরিন আহমাদ ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ সামাদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম।



কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫

নিজস্ব প্রতিবেদক |  বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক  সভায় বয়সসীমার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদরাসা) রওনক মাহমুদ  বলেন, কারিগরি ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নীতিমালায় বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক নিয়োগের মতোই বিধি থাকছে। খসড়া চূড়ান্ত করা হলেও মঙ্গলবার সভায় শিক্ষকদের নিয়োগের বয়সসীমার বিষয়টি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বেসরকারি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বেসরকারি এমপিও নীতিমালার সঙ্গে মাদরাসা ও কারিগরি নীতিমালায় সার্বিক মিল থাকলেও এতে শিক্ষকদের নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে।
সংশ্লিষ্ট সচিব, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী অনুমোদন দিলে নীতিমালাটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। এরপর কারিগরি ও মাদরাসায় নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ)- এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। ওই নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ বছর। পাশাপাশি বদলির ব্যবস্থাও রাখা হয়। কিন্তু ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কারিগরি ও মাদরাসা)- এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ বয়সসীমা নির্ধারণ না করায় বিতর্ক দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ পেতে বয়স ৩৫ বছর থাকবে আর কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষকদের নিয়োগে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, সমমানের পদে নিয়োগে এ বৈষম্য অনৈতিক। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠলে তা পরিবর্তন করে নতুন করে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।
শিক্ষকদের বদলি-সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে রওনক মাহমুদ বলেন, সরকার চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষককে বদলি করতে পারবেন, এ জন্য বদলি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় নীতিমালাটি অনুমোদন দিয়েছে। মাদরাসা ও কারিগরির ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য আছে। সেগুলো ঠিক করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।



উইঘুরে মুসলিম নারীদের ওপর নতুন নির্যাতন শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ
জুলাই  ২০১৮
news-image

চীনের উইঘুরে মুসলিম নারীদের ওপর নতুন নির্যাতন শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। রাস্তায় বের হওয়া নারীদের ধরে জোর করে বোরকা বা রোরকা সদৃশ লম্বা পোশাক কেটে ফেলা হচ্ছে। খবর ইয়ানি শাফাকের।দীর্ঘ দিন ধরে চীনের উইঘুরে মুসলিম নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। রমজান মাসে সেখানে মুসলমানদের রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ও মুসলিম প্রথা অনুযায়ী শিশুদের নাম রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।চীনের উইঘুর এলাকায় মুসলিম নারীদের পোশাক কোমরের নিচে ঝুলে থাকলে বা বোরকা সদৃশ হলে তা কেটে নেয়ার নতুন এ নির্যাতন শুরু করেছে পুলিশ।
ডকুমেন্টিং এগেইনিস্ট মুসলিম (ডিওএম) নামক একটি সংগঠন জানিয়েছে, মুসলিম নারীদের পোশাক লম্বা হলে রাস্তার মাঝে তাকে ধরে তার পোষাক ছোট করে কেটে দেয়া হচ্ছে।



কড়া নিরাপত্তায় আল আকসা মসজিদ পরিদর্শনে ইসরায়েলি মন্ত্রীরা

news-image
চলতি সপ্তাহে আল আকসা মসজিদ পরিদর্শনে গিয়েছে ইসরায়েল পার্লামেন্টের তিন সদস্য। তাদের মাঝে দু’জন মন্ত্রীও রয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মাঝে তারা মসজিদে প্রবেশ করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইসরায়েলের পার্লামেন্ট সদস্যদের ওপর আল আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর তারা প্রথমবারের মতো মসজিদ পরিদর্শনে যায়। খবর: আল আরাবিইসরায়েলের কৃষি মন্ত্রী আভারি এরিয়েল লিকুদ পার্টির সদস্য শারেন হাসকেলকে নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। এসময় তাদের সঙ্গে কয়েকজন ইহুদিও ছিল।গত সপ্তাহে ইসরায়েলের মিডিয়া ঘোষণা করেছে, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নেসেট এবং মন্ত্রীদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, নেতানিয়াহু দুই বছর আগে সরকার ও নেসেটের সদস্যদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিল।



মাত্র ২১ দিনে হাফেজ হয়ে তাক লাগাল সিলেটের মাশহুদ

news-image
 মাদরাসায় ভর্তির ২১ দিনের মাথায় পূর্ণ কুরআন মাজিদ মুখস্থ করে সিলেটবাসীকে অবাক করে দিয়েছে হাফেজ মাশহুদ হোসাইন।জানা গেছে, সে সিলেট নগরীর কাজীটুলাস্থ মারকাযু শায়খিল ইসলাম আল-আমিন মাদরাসায় গত ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি হয়ে কুরআন মুখস্থ করা শুরু করে। মধ্যখানে দু’দিন সিলেট ইজতেমা মাঠে অবস্থান করে পূনঃরায় মুখস্থ করা শুরু করে এবং মোট ২১দিনে ৩০পারা কোরআন শরীফ হিফজ সম্পন্ন করে।হাফেজ মাশহুদ হোসাইনের জন্ম ২০০৬ সালের পহেলা মার্চ। সে কানাইঘাট উপজেলার উত্তর লক্ষীপ্রসাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। তার বাবা আব্দুর রহিম ও একজন হাফিজে কোরআন। ২০১৬ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়। পরে মা-বাবার আগ্রহে কানাইঘাট থেকে সিলেট কাজীটুলাস্থ মারকাযু শায়খিল ইসলাম মাদরাসায় তাকে ভর্তি করে দেয়া হয়।
গত ৬ জানুয়ারি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মাদরাসা মসজিদে তার সম্মানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এদিকে গত ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বসেরা হাফিজ ক্বারীদের তেলাওয়াত সম্মেলনে কিশোর বালক মাশহুদ পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করে এসময় হাজার হাজার জনতা তাকে একনজর দেখার জন্য ভিড় জমান। অনেকেই তাকে নগদ টাকা পুরস্কার প্রদান করেন।
ইমাম সমিতির আহবানে জনৈক ধর্ম ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি তার শিক্ষা অর্জনের যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহনের জন্য সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে।


পাকিস্তানে স্কুলে কোরআন পাঠকে বাধ্যতামূলক করে আইন পাস



news-image
নিউজ :প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পবিত্র কোরআন পাঠ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পাকিস্তানে। এই মর্মে জাতীয় আইনসভায় বিলও পাস হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মুসলিম পড়ুয়াকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে কোরআন পাঠ করতেই হবে। বিলটি প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। এরপরেই সেটি আইনে রূপান্তরিত হবে। এই আইন একমাত্র মুসলিম পড়ুয়াদের জন্যই প্রযোজ্য হবে।‌‌ বিলে বলা হয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের আরবি লিপিতে উর্দু অনুবাদের কোরআন পাঠ করতে হবে৷
ইসলাম পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ধর্ম। দেশটিতে ধর্ম অবমাননা আইন জারি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে, আইনটির অপপ্রয়োগ হয়। তার জেরে বিপদে পড়েন পাকিস্তানি সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী জনসাধারণ
কাজের সুযোগ পরিসংখ্যান ব্যুরোতে

কাজের সুযোগ পরিসংখ্যান ব্যুরোতেবিভিন্ন পদে ১৩৪ জন লোক চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। আবেদনের শেষ তারিখ ২৮ জুলাই। বিস্তারিত জানাচ্ছেন রায়হান রহমান পরিসংখ্যান তদন্তকারী পদে ২৩ জন, থানা পরিসংখ্যানবিদ পদে ১ জন, পরিসংখ্যান সহকারী পদে ৩৮ জন, ইনুমারেটর (তথ্য সহকারী) পদে ১ জন, জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী পদে ৬৪ জন, জুনিয়র অপারেটর পদে ৩ জন ও বুকবাইন্ডার পদে ৪ জন নিয়োগ দেবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। লক্ষ্মীপুর ও দিনাজপুর বাদে অন্য জেলার প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। বিজ্ঞপ্তিটি ছাপা হয়েছে৮ জুলাই ইত্তেফাকে (পৃ. ৬)। পাওয়া যাবে http://bbs.teletalk.com.bd/doc/Advertisement.pdfও http://bit.ly/2NekSAy লিংকে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে আবেদন প্রক্রিয়া। অনলাইনে আবেদন করতে হবে http://bbs.teletalk.com.bd/apply.php লিংকে। আবেদন করা যাবে ২৮ জুলাই পর্যন্ত।
আবেদনের যোগ্যতা
পরিসংখ্যান তদন্তকারী, থানা পরিসংখ্যানবিদ, পরিসংখ্যান সহকারী পদে আবেদনের জন্য পরিসংখ্যান, অর্থনীতি, গণিত, ভূগোল বা সমাজবিজ্ঞানের যেকোনো একটি বিষয়সহ বিএ, বিএসসি বা বিকম ডিগ্রিধারী হতে হবে। পরিসংখ্যান তদন্তকারী পদে থাকতে হবে দুই বছরের অভিজ্ঞতা। ইনুমারেটর, জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী পদে পরিসংখ্যান, অর্থনীতি বা গণিতের যেকোনো একটি বিষয়সহ বিজ্ঞান, মানবিক, বাণিজ্য বা কৃষি বিভাগে এইচএসসি পাস হতে হবে।
এইচএসসি হলেই আবেদন করা যাবে জুনিয়র অপারেটর ও বুকবাইন্ডার পদে। জুনিয়র অপারেটরের ক্ষেত্রে প্রিন্টিং মেশিনারিজ পরিচালনায় থাকতে হবে ২ বছরের অভিজ্ঞতা। বুকবাইন্ডার পদে প্রকাশনা জগতে বাঁধাই ও পুনঃবাঁধাইয়ের কাজে কমপক্ষে ২ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সব পদে ৮ জুলাই ২০১৮ তারিখে বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়ে ও প্রতিবন্ধীদের বেলায় বয়সসীমা ১৮-৩২ বছর। সমগ্রেডের একাধিক পদে আবেদন করা যাবে না।
আবেদনের নিয়ম
অনলাইনে দেওয়া নির্ধারিত ছকে (http://bbs.teletalk.com.bd/apply.php) আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে। আবেদনের সময় লাগবে ৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেল সাইজের ছবি ও ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেল সাইজের স্বাক্ষরের স্ক্যান কপি। অনলাইন আবেদন ফরম পূরণ করার পর ছবিসহ অ্যাপ্লিকেশন প্রিভিউ দেখা যাবে। নির্ভুলভাবে আবেদনপত্র সাবমিট করা প্রার্থী ইউজার আইডি, ছবি ও স্বাক্ষরযুক্ত একটি অ্যাপ্লিকেন্টস কপি পাবেন। অ্যাপ্লিকেন্টস কপি প্রিন্ট বা ডাউনলোড করে সংরক্ষণ করতে হবে। অ্যাপ্লিকেন্টস কপিতে একটি ইউজার আইডি দেওয়া থাকবে। এটি ব্যবহার করে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লিখিত নিয়মানুসারে টেলিটক প্রিপ্রেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ ১১২ টাকা জমা দিতে হবে। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাবে http://bbs.teletalk.com.bd/home.php ওয়েবসাইটে। আবেদনের সময় কোনো কাগজপত্র লাগবে না। তবে মৌখিক পরীক্ষার সময় লাগবে শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের মূল কপি, কোটায় আবেদন করা প্রার্থীদের সংশ্লিষ্ট সনদপত্র।
পরীক্ষার ধরন ও প্রস্তুতি
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর এফএ অ্যান্ড এমআইএস উইংয়ের পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল কাদের মিয়া জানান, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা হবে। লিখিত পরীক্ষায় বরাদ্দ থাকবে ৭০ নম্বর। লিখিত পরীক্ষার প্রশ্ন হবে এমসিকিউ আকারে। উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষার জন্য। পদ অনুসারে আলাদা প্রশ্ন হবে। প্রশ্ন করা হবে পদের শিক্ষাগত যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো সূত্রে জানা গেছে, নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য নবম-দশম ও একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞানের ওপর নজর রাখতে হবে। বিগত বছরের প্রশ্ন বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, প্রতিটি পদের জন্য এমসিকিউ পরীক্ষা হয় আলাদা প্রশ্নপত্রে।
বাংলা ব্যাকরণ থেকে সন্ধিবিচ্ছেদ, সমাস, কারক বিভক্তি, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা, ণত্ব বিধান, ষত্ব বিধান এবং সাহিত্য অংশে গল্প, কবিতা বা বইয়ের লেখকের নাম ও জীবনী থেকে প্রশ্ন আসে। ইংরেজিতে গ্রামার অংশে সাধারণত Tense, Parts of speech, Verb, Translation, Number, Gender, Voice Change, Synonym, Antonym, Sentence, Appropriate Word, Preposition, Idioms and Phrases থেকে প্রশ্ন আসে।
গণিতে শতকরা, সুদকষা, ঐকিক নিয়ম, অনুপাত, সমানুপাত, বাস্তব সমস্যা, লসাগু-গসাগু, লাভ-ক্ষতি, ভগ্নাংশ, উত্পাদক, সূচক, লগারিদম, বীজগণিতীয় সূত্র থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। জ্যামিতি অংশ থেকে ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত, রেখা, কোণ, ক্ষেত্রফল ইত্যাদি বিষয়ে প্রশ্ন আসতে পারে।
সাধারণ জ্ঞান থেকে বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে প্রশ্ন থাকে। বাংলাদেশ বিষয়ে ভূ-প্রকৃতি, জলবায়ু, ইতিহাস ও সভ্যতা, সংস্কৃতি ও ভাষা-আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশ রাষ্ট্রব্যবস্থা এবং আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি থেকে সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া আলোচিত বিষয়সহ নানা টপিক থেকে প্রশ্ন আসতে পারে। পদ অনুসারে হতে পারে টেকনিক্যাল প্রশ্নও।
মৌখিক পরীক্ষা
মৌখিক পরীক্ষায় ৩০ নম্বর বরাদ্দ। মৌখিক পরীক্ষার প্রশ্ন নিয়োগকর্তার ওপর নির্ভর করে। তবে মৌখিক পরীক্ষায় আপনার সম্পর্কে, আপনার জেলার বিখ্যাত ব্যক্তি, স্থান, খাবার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হতে পারে। সমসাময়িক বিষয় থেকেও প্রশ্ন হতে পারে। যে পদে আবেদন করেছেন ওই পদের দায়িত্ব ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জেনে যেতে হবে। নিয়োগকর্তা ইংরেজিতে প্রশ্ন করেন তবে ইংরেজিতেই উত্তর দিতে হবে। নিজেকে সুন্দর ও সাবলীলভাবে উপস্থাপন করতে হবে।
বেতন ও সুযোগ-সুবিধা
জাতীয় বেতনক্রম ২০১৫ অনুসারে পরিসংখ্যান তদন্তকারী ও পরিসংখ্যানবিদ ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা স্কেলে বেতন পাবেন। পরিসংখ্যান সহকারী, ইনুমারেটর, জুনিয়র পরিসংখ্যান সহকারী বেতন স্কেল ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা। জুনিয়র অপারেটর বেতন স্কেল ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা ও বুকবাইন্ডার ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা স্কেলে বেতন পাবেন।
যোগাযোগ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, এফ অ্যান্ড এমআইএস, পরিসংখ্যান ভবন, ই-২৭/এ, আগারগাঁও, ঢাকা-১২০৭।
ওয়েব : http://www.bbs.gov.bd

সমাজসেবা অধিদপ্তরের দরকার ৯৬০ কর্মী
লোকবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সমাজসেবা অধিদপ্তর। অনলাইনে আবেদন করা যাবে ২৯ জুলাই পর্যন্ত।

সমাজসেবা অধিদপ্তরের দরকার ৯৬০ কর্মীমডেল : নিধি, অন্তর, সিনিন, ছবি : ইয়ামিন মজুমদারঅ- অ অ+হাউস প্যারেন্ট কাম টিচার পদে ১৩ জন, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর ১০ জন, ফিল্ড সুপারভাইজার ৫০ জন, সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) ৪৬৩ জন, অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ১৫৭ জন, গাড়িচালক ১২ জন এবং অফিস সহায়ক পদে ২৫৫ জন নিয়োগ পাবে। হাউস প্যারেন্ট কাম টিচার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে অস্থায়ী রাজস্ব খাতে ও বাকি সব পদে স্থায়ী রাজস্ব খাতে। পদ অনুসারে নিয়োগপ্রাপ্তদের কর্মস্থল হবে সমাজসেবা অধিদপ্তরের অধীনস্থ কার্যালয়ে। নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিটি ছাপা হয়েছে ১১ জুলাই বাংলাদেশ প্রতিদিন ও যুগান্তরে। পাওয়া যাবে www.dss.gov.bd ওয়েবসাইটে ও bit.ly/2L0LrfQ লিংকে।
আবেদনের যোগ্যতা
হাউস প্যারেন্ট কাম টিচার পদে আবেদনের যোগ্যতা দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতকসহ ব্যাচেলর অব স্পেশাল এডুকেশন ডিগ্রি। ব্রেইল পদ্ধতিতে কম্পিউটার চালনায় অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এইচএসসি পাস হলেই আবেদন করা যাবে সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে। সাঁটলিপিতে ইংরেজি প্রতি মিনিটে ৮০, বাংলায় ৫০ শব্দ এবং কম্পিউটার কম্পোজে ইংরেজি ৩০ ও বাংলায় ২৫ শব্দের গতি থাকতে হবে। ফিল্ড সুপারভাইজার পদে আবেদনের যোগ্যতা ন্যূনতম দ্বিতীয় শ্রেণির স্নাতক ডিগ্রি। এ ছাড়া স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে থাকতে হবে কম্পিউটার চালনা প্রশিক্ষণ। দ্বিতীয় বিভাগে এইচএসসি পাস হলেই আবেদন করা যাবে সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) পদে। অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে আবেদনের জন্যও এইচএসসি পাস হতে হবে। বাড়তি যোগ্যতা লাগবে কম্পিউটারে প্রশিক্ষণ এবং কম্পিউটার চালনায় ওয়ার্ড প্রসেসিং, ডাটা এন্ট্রি ও টাইপে ইংরেজিতে এবং বাংলায় মিনিটে ২০ শব্দের গতি। গাড়িচালক পদে আবেদনের যোগ্যতা চাওয়া হয়েছে অষ্টম শ্রেণি পাস। গাড়ি চালনায় অভিজ্ঞতা এবং হালকা ও ভারী যানবাহন চালনার ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। এসএসসি পাস হলেই আবেদন করা যাবে অফিস সহায়ক পদে। ১ জুলাই ২০১৮ তারিখে সাধারণ প্রার্থীর বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। শারীরিক প্রতিবন্ধী, মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের ক্ষেত্রে বয়স ১৮-৩২ বছর। তবে একই তারিখে মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের বেলায় বয়সসীমা ১৮-৩০ বছর। ফিল্ড সুপারভাইজার পদে ও সমাজকর্মী (ইউনিয়ন) পদে বিভাগীয় প্রার্থীদের বয়সসীমা সর্বোচ্চ ৩৫ বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য।
 
আবেদন যেভাবে
আবেদন করতে হবে অনলাইনে। dss.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে। অনলাইনে আবেদন ফরম পূরণ ও পরীক্ষার ফি জমা দেওয়া শুরু হয়েছে ১৫ জুলাই। আবেদনের শেষ সময় ২৯ জুলাই রাত ১২টা। অনলাইন আবেদনের সময় ৩০০ বাই ৩০০ পিক্সেল ছবি এবং ৩০০ বাই ৮০ পিক্সেলের স্বাক্ষর স্ক্যান করে আপলোড করতে হবে। ছবির সাইজ সর্বোচ্চ ১০০ কেবি এবং স্বাক্ষরের সাইজ সর্বোচ্চ ৬০ কেবি হতে হবে। আবেদন সাবমিটের আগে সব তথ্য ভালো করে দেখে নিতে হবে, যাতে কোনো ভুল না থাকে। অনলাইনে জমা দেওয়া আবেদনের কপি প্রিন্ট দিয়ে এবং ডাউনলোড দিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। অনলাইনে আবেদন জমা দেওয়ার সময় থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে মোবাইল এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি জমা দিতে হবে। ইউজার আইডি ব্যবহার করে টেলিটক প্রি-প্রেইড মোবাইল থেকে এসএমএসের মাধ্যমে পরীক্ষার ফি বাবদ অফিস সহায়ক পদের জন্য ৫৬ টাকা ও বাকি সব পদের জন্য ১১২ টাকা জমা দিতে হবে।
 
প্রবেশপত্র ও অন্যান্য
dss.teletalk.com.bd অথবা www.dss.gov.bd ওয়েবসাইটে জানা যাবে প্রবেশপত্র প্রাপ্তির সব তথ্য। এ ছাড়া প্রার্থীর দেওয়া মোবাইল নম্বরে এসএমএসেও জানানো হবে। এসএমএসে পাঠানো ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে পরবর্তী সময়ে রোল নম্বর, পদের নাম, ছবি, পরীক্ষার তারিখ, সময় ও পরীক্ষাকেন্দ্রের তথ্যসহ প্রবেশপত্র ডাউনলোড দিয়ে প্রিন্ট করে নেওয়া যাবে। প্রবেশপত্রটি লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার সময় সঙ্গে রাখতে হবে।
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষায় বসার আগে জমা দিতে হবে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র। লাগবে সব শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদপত্রের কপি, নাগরিকত্ব সনদ, চারিত্রিক সনদ, কোটার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সনদ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তার দ্বারা সত্যায়িত করে জমা দিতে হবে। মৌখিক পরীক্ষার দিন সঙ্গে রাখতে হবে সব সনদের মূল কপি।
 
পরীক্ষা পদ্ধতি
সমাজসেবা অধিদপ্তর ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি অনুসারে, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়। ক্ষেত্র বিশেষে নেওয়া হয় ব্যবহারিক পরীক্ষায়ও। অধিদপ্তরের প্রশাসন ও অর্থ শাখা সূত্রে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির পদগুলোতে মোট ১০০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়া হয়ে থাকে। এর মধ্যে ৭০ নম্বরের লিখিত এবং ৩০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ পরীক্ষায় মোট ৫০ নম্বরের মধ্যে ৪০ নম্বরের লিখিত এবং ১০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হতে পারে। এমসিকিউ পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা হয়ে থাকে। পদ অনুসারে করা হয় প্রশ্নপত্র। লিখিত পরীক্ষায় বাংলা, ইংরেজি, গণিত ও সাধারণ জ্ঞান বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। কম্পিউটার অপারেটর পদের লিখিতি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের জন্য বসতে হবে টাইপিং টেস্ট বা ব্যাবহারিক পরীক্ষায়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ডাকা হবে মৌখিক পরীক্ষায়।
 
পরীক্ষার প্রস্তুতি
সমাজসেবা অধিদপ্তরে কর্মরতদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তৃতীয় শ্রেণির পদগুলোতে বোর্ড নির্ধারিত এসএসসি ও এইচএসসির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। অষ্টম শ্রেণির পাটিগণিত ও বীজগণিত থেকেও প্রশ্ন থাকে। পাঠ্য বইগুলো বেশি বেশি চর্চা করলে লিখিত পরীক্ষায় ভালো করা যাবে। ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার সমাজকর্মী পদে কর্মরত মো. ফারুকুজ্জামান জানান, সমাজকর্মী পদে অষ্টম-দশম শ্রেণির বাংলা, ইংরেজি ও গণিত বই থেকে বেশি প্রশ্ন করা হয়। বাংলা ব্যাকরণে সন্ধিবিচ্ছেদ, কারক, বিভক্তি, সমাস, ণত্ববিধান, ষত্ববিধান, প্রবাদ প্রবচন, এককথায় প্রকাশ, বাগধারা থেকে প্রশ্ন আসে। এ ছাড়া সাহিত্য অংশ থেকেও প্রশ্ন করা হয়। ইংরেজি অংশ থেকে Translation, Tense, Preposition, Parts of speech, Verb, Number, Gender, Voice Change, Synonym, Antonym, Transformation of Sentence, Appropriate Word, Idioms and Phrases থেকে প্রশ্ন আসে। গণিতে সরল, সুদকষা, শতকরা, ঐকিক নিয়ম, লসাগু, গসাগু অধ্যায় থেকে প্রশ্ন আসে। সাধারণ জ্ঞানে  প্রশ্ন করা হয় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ঘটনাবলি থেকে। প্রশ্ন থাকে সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ থেকেও।
বিভিন্ন প্রকাশনীর নিয়োগ পরীক্ষার প্রস্তুতি সহায়ক বই পাওয়া যায় বাজারে। সহায়ক হতে পারে এসব বই। বাজারে সাধারণ জ্ঞানের বেশ কিছু প্রকাশনীর বই পাওয়া যায়। পড়তে পারেন গোলাম মোস্তফা কিরনের ‘আজকের বিশ্ব’ ও সেলিম গাজীউর রহমানের ‘স্বপ্নপূরণ’।
মৌখিক পরীক্ষায় প্রার্থীর নিজের সম্পর্কে, পঠিত বিষয় ও নিজ জেলা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়। প্রশ্ন করা হতে পারে সাধারণ জ্ঞান থেকেও।
 
বেতন-ভাতা
হাউস প্যারেন্ট কাম টিচার পদে ১৬০০০-৩৮৬৪০ টাকা স্কেলে, সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে ১১০০০-২৬৫৯০ টাকা স্কেলে, ফিল্ড সুপারভাইজার পদে ১০২০০-২৪৬৮০ টাকা স্কেলে, সমাজকর্মী (ইউনিয়ন), অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক এবং গাড়িচালক পদে ৯৩০০-২২৪৯০ টাকা টাকা স্কেলে, অফিস সহায়ক পদে ৮২৫০-২০০১০ টাকা স্কেলে বেতন ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা পাওয়া যাবে


বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি


আগামী ২২ জুলাই ২০১৮ হতে ৩১ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত নির্ধারিত সেনানিবাসে সৈনিক পদে লোক ভর্তি কার্যক্রমে অনুষ্ঠিত হবে, বিস্তারিত বিজ্ঞাপনে দেখন।
আবেদন পক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীদের http://sainik.teletalk.com.bd ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে। আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে বিজ্ঞাপনে দেখুন।




বিজ্ঞাপনটি ডাউনলোড করতে  ডাউনলোড বাটনে চাপুন


ডাউনলোড
আগের বিজ্ঞাপন:
৬৪টি জেলায় ২০৮০ টি পদে সৈনিক  নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনী!!
এস.এম.এস এ আবেদন শুরুঃ ০৮ ডিসেম্বর, ২০১৭
আবেদনের শেষ তারিখ: ০৬ জানুয়ারি, ২০১৮ ইং
বয়স ১৭ থেকে ২১ এর মধ্যে হতে হবে।
কোন জেলায় কতটি পদে নিয়োগ দেয়া হবে দেখে নিন।
(তারকা চিহ্নিত জেলা গুলোতে পুরুষের পাশাপাশি মহিলাদেরও নিয়োগ দেয়া হবে।)
1. Bogra (বগুড়া)= ১০
2. Bandarban (বান্দরবন)*= ৬৪
3. Barguna (বরগুনা)*=  ৩২
4. Barisal (বরিশাল)*= ২৯
5. Bagerhat (বাগেরহাট)= ২৬
6. Bhola (ভোলা)= ৩০
7. Brahmanbaria (ব্রাহ্মণবাড়িয়া)=৫৪
8. Chandpur (চাঁদপুর)*=৫৬
9. Chittagong (চিটাগাং)*=৫৬
10. Chuadanga (চুয়াডাঙ্গা)=১৯
11. Comilla (কুমিল্লা)*=৫৫
12. Cox’s Bazar (কক্সবাজার)*=৬১
13. Dhaka (ঢাকা)=৪০
14. Dinajpur (দিনাজপুর)*=০৩
15. Faridpur (ফরিদপুর)*=৪৫
16. Feni (ফেনী)=৫৯
17. Gaibandha (গাইবান্ধা)=০৮
18. Gazipur (গাজীপুর)=৪১
19. Gopalganj (গোপালগঞ্জ)*=৪৭
20. Habiganj (হবিগঞ্জ)*=৫৩
21. Jaipurhat (জয়পুরহাট)*=০৯
22. Jamalpur (জামালপুর)*=৩৬
23. Jessore (যশোর)=২৩
24. Jhalakathi (ঝালকাঠী)*=২৮
25. Jhinaidah (ঝিনাইদাহ)=২০
26. Khagrachari (খাগড়াছড়ি)=৬২
27. Khulna (খুলনা)=২৫
28. Kishoreganj (কিশোরগঞ্জ)*=৩৮
29. Kurigram (কুড়িগ্রাম)=০৭
30. Kushtia (কুষ্টিয়া)=১৭
31. Lakshmipur (লক্ষ্মীপুর)*=৫৭
32. Lalmonirhat (লালমনিরহাট)*=০৫
33. Madaripur (মাদারীপুর)=৪৮
34. Magura (মাগুরা)=২১
35. Manikganj (মানিকগঞ্জ)=৩৯
36. Meherpur (মেহেরপুর)*=১৮
37. Moulavibazar (মৌলভীবাজার)*=৫২
38. Munshiganj (মুন্সীগঞ্জ)=
39. Mymensingh ( ময়মনসিংহ)=৩৪
40. Naogaon (নওগাঁ)=১১
41. Narayanganj (নারায়ণগঞ্জ)=৪৩
42. Narsingdi (নরসিংদী)=৪২
43. Natore (নাটোর)=১২
44. Nawabgonj (নওয়াবগঞ্জ)*=১৩
45. Netrokona (নেত্রকোনা)=৩৩
46. Nilphamari (নীলফামারী)=০৪
47. Noakhali (নোয়াখালী)*=৫৮
48. Norail (নড়াইল)*=২২
49. Pabna (পাবনা)=১৬
50. Panchagarh (পঞ্চগড়)*=০১
51. Patuakhali (পটুয়াখালী)*=৩১
52. Pirojpur (পিরোজপুর)=২৭
53. Rajbari (রাজবাড়ী)*=৪৬
54. Rajshahi (রাজশাহী)=১৪
55. Rangamati (রাঙ্গামাটি)=৬৩
56. Rangpur (রংপুর)*=০৬
57. Satkhira (সাতক্ষীরা)=২৪
58. Shariyatpur (শরীয়তপুর)=৪৯
59. Sherpur (শেরপুর)=৩৫
60. Sirajgonj (সিরাজগঞ্জ)*=১৫
61. Sunamganj (সুনামগঞ্জ)=৫০
62. Sylhet (সিলেট)=৫১
63. Tangail (টাঙ্গাইল)*=৩৭
64. Thakurgaon.(ঠাকুরগাঁও)=০২

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের চাকরির খবর ২০১৮
1 month ago1 Min ReadSuhag HasanAdd Comment
  • Share This!
বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অধীনে মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম- ৬ষ্ঠ পর্যায় (১ম সংশোধিত) প্রকল্পের ৪টি পদে ৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহ ও যোগ্যতা থাকলে আপনিও আবেদন করতে পারেন। সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হল-
পদসমূহের বিস্তারিত তথ্য নিচে দেখুনঃ
১) হিসাব রক্ষক = ১ টি পদ।
বেতন: উক্তপদের জন্য মাসিক  ১৯ হাজার ৩০০ টাকা দেয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বি.কম/সমমান ।
২)আর অ্যান্ড ডি ক্লার্ক= ১ টি পদ।
বেতন: উক্তপদের জন্য মাসিক  ১৭ হাজার ৪৫ টাকা দেয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক/সমমান।
৩)ক্যাশিয়ার = ১টি পদ।
বেতন: উক্তপদের জন্য মাসিক  ১৭ হাজার ৪৫ টাকা দেয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বি.কম/সমমান ।
৪)কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম অফিস সহকারী = ৫টি পদ।
বেতন: উক্তপদের জন্য মাসিক ১৫ হাজার ৬৫০ থেকে  ১৭ হাজার ৪৫ টাকা দেয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: এইচএসসি/সমমান  ।
চাকরির ধরন: অস্থায়ী।
চাকরির মেয়াদ: ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত।
আবেদনের সময়সীমা: ১৯ জুন ২০১৮ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহীরা www.ifmoushik.gov.bd থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহ করে প্রকল্প পরিচালক, মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প (৬ষ্ঠ পর্যায়), ইসলামিক ফাউন্ডেশন, আগারগাঁও, শেরেবাংলা নগর, ঢাকা-১২০৭ এই ঠিকানায় পাঠাতে হবে।

হাফেজ সাহেব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
লিখেছেন: ' মুসাফির' @ মঙ্গলবার, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০১৭ (৪:০২ অপরাহ্ণ)
এতদ্বারা জানানো যাচ্ছে যে, তাহমিদ ইসলামিক ইন্সটিটিউট এর জন্য একজন অভিজ্ঞ হাফেজ সাহেব নিয়োগ প্রদান করা হবে।
নিম্নোক্ত বৈশিষ্টের অধিকারীগণ যোগাযোগ করার জন্য অনুরুধ করা হলো।
*প্রার্থীর পড়া আন্তর্জাতিক মানের হতে হবে।
*ছাত্র গড়ে তুলার যোগ্যতা থাকতে হবে।
*বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কারীদের অনুস্মরণে তেলাওয়াত জানা থাকতে হবে।
*উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।
*কমপক্ষে ৩/৪ বৎসর পড়ানোর অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
সুযোগ সুবিধা:
*শিক্ষকের বেতন ভাতা আলোচনা সাপেক্ষে নির্ধারণ করা হবে।
*প্রতি রমজানের ঈদে বেতনের সমপরিমাণ ও কুরবানীর ঈদে বেতনের অর্ধেক বোনাস হিসেবে প্রদান করা হবে।
*উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত ব্যবস্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য সুযোগ সুবিধা।
যোগাযোগ
তাহমিদ ইসলামিক ইন্সটিটিউট
বাড়ি নং ২০৯/ই, ব্লক-সি, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা,
ঢাকা।
০১৭১৭৬১৬৫৩৬
০১৭৬৬৬৭৩২৫০


internat offer all pakage all telecom 



অডিট অফিসার পদে নিয়োগ দেবে পূবালী ব্যাংক
2 days ago2 Min Read
B@ngl@cyber
Add Comment
  • Share This!
পূবালী ব্যাংক লিমিটেডে অডিট অফিসার পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। প্রতিষ্ঠানটি অডিট অফিসার পদে ৩০ জনকে নিয়োগ দেবে। পদটিতে পুরুষ ও নারী প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহ ও যোগ্যতা থাকলে আপনিও আবেদন করতে পারেন। সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি বিস্তারিত দেওয়া হল।
পদের নাম ও পদসংখ্যা
অডিট অফিসার-৩০ জন
যোগ্যতা: আগ্রহী প্রার্থীকে অ্যাকাউন্টিং, ম্যানেজমেন্ট, ফিন্যান্স বা ব্যাংকিংয়ে স্নাতকসহ স্নাতকোত্তর ডিগ্রিপ্রাপ্ত হতে হবে। এ ছাড়াও সিএ প্রফেশনাল স্টেজ সম্পন্ন করতে হবে।
কর্মস্থল ও বেতন: নিয়োগপ্রাপ্তদের দেশের যে কোনো স্থানে নিয়োগ দেওয়া হতে পারে। পূবালী ব্যাংকের নিয়ম অনুযায়ী বেতন দেওয়া হবে।
আবেদনের নিয়ম: আবেদনের নিয়ম এবং বিজ্ঞপ্তি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ওয়েবসাইট www.pubalibangla.com/ career.asp এবং নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখুন। এছাড়াও বিজ্ঞপ্তিটি সরাসরি পেতে প্রতিষ্ঠানের এই লিংকটি দেখুন-  https://www.pubalibangla.com/pdf/Advertisement-Audit%20Officer-2018.pdf
আবেদনের সময়সীমা : আগ্রহী প্রার্থীরা ৩১ জুলাই, ২০১৮ তারিখ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন।
সেনাবাহিনীর বেসামরিক পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
4 weeks ago2 Min Read
B@ngl@cyber
Add Comment
  • Share This!
বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য সামরিক নিয়োগের পাশাপাশি বেসামরিক পদেও নিয়োগ দিয়ে থাকে। এক নজরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর বেসামরিক পদে চলমান নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো দেখে নিন।
এ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি গুলো সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর এ্যাডজুটেন্ট জেনারেল শাখা ক্যাডেট কলেজ পরিচালনা পরিষদ ঢাকা সেনানিবাস এর দ্বারা প্রকাশ হয়েছে।
ক্যাডেট কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
১০ টি পদে ১২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ০৩ জুলাই ২০১৮ তারিখের মধ্যে আবেদন পত্র পাঠাতে হবে।
আবেদনের ঠিকানা: অধ্যক্ষ, ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজ।
আবেদন পত্র ডাইনলোড করুন
ডাউনলোড
বিস্তারিত বিজ্ঞাপনে দেখুন


ক্যাডেট কলেজের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২
১০ টি পদে ১৮ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ০৩ জুলাই ২০১৮ তারিখের মধ্যে আবেদন পত্র পাঠাতে হবে।
আবেদনের ঠিকানা: অধ্যক্ষ, কুমিল্লা ক্যাডেট কলেজ।
আবেদন পত্র ডাইনলোড করুন
ডাউনলোড
বিস্তারিত বিজ্ঞাপনে দেখুন


Post Related Things: সেনাবাহিনীর নতুন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি
ঢাকা সেনানিবাস নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি Dhaka Cantonment Job Circular
1 month ago2 Min Read
প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ার সার্ভিসেস (এমইএস)- জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হয়েছে। ৪ টি পদে মোট ১৬ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। পদ গুলোতে নারী-পুরুষ উভয়ই আবেদন করতে পারবেন। আগ্রহ ও যোগ্যতা থাকলে আপনিও আবেদন করতে পারেন। সম্পূর্ণ বিজ্ঞপ্তি বিস্তারিত দেওয়া হল ।
পদসমূহের বিস্তারিত তথ্য নিচে দেখুনঃ
১)সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী বি/আর = ২টি পদ।
বেতন: উক্ত পদের জন্য ২২ হাজার  থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা দেয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:  বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ০৪ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।
২)সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী ই/এম = ১টি পদ।
বেতন: উক্ত পদের জন্য ২২ হাজার  থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা দেয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা: বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/পাওয়ার) ডিগ্রি হতে হবে এবং সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে ০৪ বছরের বাস্তব অভিজ্ঞতা থাকতে হবে।।
৩)সহকারী প্রকৌশলী বি/আর = ৯টি পদ।
বেতন: উক্ত পদের জন্য ২২ হাজার  থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা দেয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:  বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (সিভিল) ডিগ্রি হতে হবে।
৪)সহকারী প্রকৌশলী ই/এম= ১টি পদ।
বেতন: উক্ত পদের জন্য ২২ হাজার  থেকে ৫৩ হাজার ৬০ টাকা দেয়া হবে।
শিক্ষাগত যোগ্যতা:  বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং (ইলেকট্রিক্যাল/মেকানিক্যাল/পাওয়ার) ডিগ্রি হতে হবে।
আবেদনের সময়সীমা: ১০ জুন ২০১৮ থেকে শুরু হয়ে ৩০ জুন-২০১৮ পর্যন্ত আবেদন করা যাবে।
আবেদনের প্রক্রিয়া: আগ্রহী প্রার্থীগণকে অনলাইনে http://mes.teletalk.com.bd এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
Apply Online
আবেদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে অফিসিয়াল বিজ্ঞপ্তিতে দেখুন





সরকারি বেসরকারি সকল চাকরির খবর পড়তে আমাদের চাকরির খবর পেজে বিজিট করুন।
নতুন চাকরির খবর সবার আগে পেতে
এই প্রথমবার টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে অন্য এক গ্যালাক্সির অজানা বস্তু, প্রবেশ করেছে আমাদের সৌরজগতে!

interstellar asteroid nasa


নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন ,এই প্রথমবারের মতো পৃথিবীর টেলিস্কোপে ধরা পড়েছে অন্য এক গ্যালাক্সির অজানা বস্তু, যা প্রবেশ করেছে আমাদেরই সৌরজগতে! ১৯ অক্টোবর হেলিকাল হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘প্যান-স্টারস১’ টেলিস্কোপে  ধরা পড়ে সৌরজগৎ পরিভ্রমণকারী সেই অজানা ‘বস্তু’।বস্তুটির ব্যাস ৪০০ মিটার এবং এটি খুব দ্রুত গতি বেগে ছুটে চলছে।
এই অজানা ‘বস্তুটি’ প্রথম আবিষ্কার করেন,হনলুলুর হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যোতির্বিজ্ঞানী রব ওয়েরিক।অস্থায়ীভাবে এটার নাম রাখা হয়েছে ‘এ/২০১৭/ইউ১’।বস্তুটি  ২৫.৫ কিলোমিটার প্রতি সেকেন্ডে ছুটে চলছে। এর প্রচণ্ড গতি দেখে জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ধারণা করছেন, এটা ধূমকেতু বা কোনো গ্রহাণু নয়।নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির ট্রাজেক্টরি বিশেষজ্ঞ ডেভিড ফারনোচ্চিয়া বলেন, ‘আমি যত কক্ষপথ পরিভ্রমণকারী দেখেছি, তার মধ্যে এটাই চরম’।নাসার পক্ষ থেকে বিবৃতিতে বলা
হয়েছে, ‘এটার গতি ভীষণ, যে কারণে আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, এটা আমাদের সৌরজগৎ থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে এবং ফিরে আসার সম্ভাবনা নেই।’
জেএলএল এর সেন্টার ফর নিক-আর্থ অজাজা স্টাডিজ ম্যানেজার পল ক্লোদাস বলেন, “আমরা কয়েক দশক ধরে এই দিনের জন্য অপেক্ষা করছি।” “দীর্ঘদিন ধরে এই বস্তুগুলি বিদ্যমান- এ গ্রহাণু বা ধূমকেতুগুলি নক্ষত্রের মাঝে ঘুরছে এবং মাঝে মাঝে আমাদের সৌরশক্তির মধ্য দিয়ে অতিক্রম করে- কিন্তু এটি প্রথম এই ধরনের সনাক্তকরণ। এতদূর, সবকিছুই ইঙ্গিত দেয় যে এটি একটি ইন্টারস্টেলার অবজেক্ট, তবে আরো তথ্য এটি নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।


সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে?


Submarine bangla


আপনার কি কখনো জানতে ইচ্ছে হয়েছে সাবমেরিন কিভাবে কাজ করে? অনেকের মনেই প্রশ্ন আছে সাবমেরিন কিভাবে চলে এবং কিভাবে পানিতে ভাসে ও আবার পানির নিচে চলে যায়। বিষয়টি তেমন জটিল কিছু না সাবমেরিন মূলত কাজ করে প্রাচীন গ্রীক বিজ্ঞানী আর্কিমিডিসের “ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থিওরী” উপর ভিত্তি করে।এই থিওরীর উপর ভিওি করেই ১৬২০ সালে কর্ণেলিয়াস জ্যাকবসজুন ড্রেবেল নামীয় একজন ডাচ কর্তৃক প্রথম নৌযানবাহন হিসেবে সাবমেরিন আবিস্কার করেন।
ব্যালাস্ট ট্যাঙ্ক থিওরী হল কোন অদ্রব্য বস্তুকে পানিতে ডোবালে তা নিজের আয়তনের সমপরিমান পানি অপসারিত করবে। সোজা কথায় অপসারিত পানির ভরের থেকে পানিতে ডোবানো জিনিসটি যদি হালকা হয় তবে তা ভেসে থাকতে পারে।বিষয়টাকে আরও সহজে ও ভেঙ্গে  বলছি যাতে আপনারা সহজে বুঝতে পারেন ।
একটি খালি প্লাস্টিকের বোতলে যদি বাতাস ভরা হয় তখন কিন্ত বোলতটি পানিতে ভেসে থাকবে। ঠিক যদি আবার বোতলটিতে নতুন করে পানি ভর্তি করে দেওয়া হয় তবে সকল বাতাস বের হয়ে যাবে বোতলটি ভারী হয়ে গিয়ে পানিতে ডুবে যাবে। আবার যদি অর্ধেক বাতাস বোতলে রাখা হয় তবে বোতলটি অর্ধনিমজ্জিত অবস্থায় ভেসে থাকবে সেইম সূত্র অবলম্বন করে সাবমেরিন পরিচালিত হয়।
একই সূত্র ফলো করে সাবমেরিনে কিছু ব্যালাস্ট ট্যাংকার থাকে এর ভিতরে পানি ও বাতাস ডুকানো হয় যন্ত্রের সাহায্যে। যখন সাবমেরিন ডুবানোর দরকার পরে তখন এইসব ব্যালাস্ট ট্যাংকারে পানি ডুকিয়ে দেওয়া হয় ফলে সাবমেরিনটি ভারী হয়ে পানিতে ডুবে যায়। আবার যখন ভাসানোর দরকার পরে তখন ব্যালাস্ট ট্যাংকারের পানি গুলি বের করে যন্ত্রের সাহায্যে দ্রুত বাতাস ডুকতে থাকে ফলে সাবমেরিন পানির উপরে ভেসে উঠে।
তবে এতে করে সাবমেরিনের ভিতরে চাপের কোন পরিবর্তন হয়না কারণ হল এতে উন্নত মানের ষ্টীল, টাইটেনিয়ামের মতন ধাতু ব্যাবহার করা হয়। এইসব ধাতুর কারণে শুধু সাবমেরিনের ভিতরে নয় এর বাইরেরও পানি প্রচণ্ড চাপ সহ্য করার মতন ক্ষমতা থাকে।
সাবমেরিনের ভিতরে অক্সিজেন সরবরাহ করার জন্য যন্ত্রের সাহায্য নিয়ে অক্সিজেন তৈরি করা হয়।
অনেকে প্রশ্ন করেন পানির কত নিচে পর্যন্ত যেতে পারে সাবমেরিন। আসলে সাবমেরিনের একটা নিদিষ্ট রেঞ্জ থাকে সেই রেঞ্জের  নিচে গেলে সাবমেরিনটির দুর্ঘটনায় ঘটবে । বর্তমানের আধুনিক সাবমেরিন গুলি মধ্যে সবচেয়ে বেশী চাপ নিতে সক্ষম মার্কিন পারমাণবিক সাবমেরিন ও রাশিয়ান সাবমেরিনগুলি, মার্কিন সাবমেরিন গুলি ৪৫০০ ফুটের নিচে যেতে পারে না। যদি যায় তবে পানির বিশাল চাপে সাবমেরিন চ্যাপ্টা বানিয়ে ফেলবে।
সাবমেরিন কতদিন পানির নিচে থাকবে তা নির্ভর করে মূলত কতদিনের জ্বালানি আছে ও ক্রদের খাদ্য কি পরিমাণ রিজার্ভ আছে। যদি ডিজেল সাবমেরিন হয় তবে ডিজেল নেভার জন্য কিছুদিন পরেই উপরে আসতে হয়। আর যদি পারমাণবিক সাবমেরিন হয় তবে একবার জ্বালানি নিয়ে এটি একটানা ২৫ বছর বা আরও বেশী সময় পানির নিচে থাকতে পারবে কিন্ত ক্রদের খাদ্যর জন্য তাকে উপরে আসতেই হবে।কারণ পারমাণবিক সাবমেরিন নিজে ২৫ বছর বা আরও বেশীদিন পানির নিচে থাকতে পারবে কিন্ত ভিতরের মানুষের জন্য ৬ মাস পরে উপরে আসতেই হবে। সাবমেরিনে ৬ মাসের বেশী খাবার মজুদ রাখা যায় না।
আশা করি সাবমেরিন নিয়ে অনেক প্রশ্নের উত্তর পাবেন।
Share this:


ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর:মহাকাশের মহাবিস্ময় পর্ব:১





ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর সম্পর্কে জানে না এরকম মানুষের সংখ্যা বর্তমানে খুব কম। বর্তমান সময়ে মহাকাশ গবেষণার অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো ব্ল্যাকহোল। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার শেষ নেই। রোজই পত্রিকার পাতা উল্টালে বা ইন্টারনেটে এ সম্পর্কে খবর পড়ে থাকি। বেশ কিছু হলিউড ফিল্মেও ব্ল্যাকহোল দেখানো হয়েছে। সত্যি বলতে,ব্ল্যাকহোল সম্পর্কে আমরা আজ পর্যন্ত খুব কমই জানতে পেরেছি। তো শুরু করার আগে এর সংঙাটা একবার জেনে নেই- ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহ্বর হলো বিশাল পরিমাণ ভরবিশিষ্ঠ কোনো বস্তু যার মহাকর্ষ বল অনেক বেশি হওয়ায় কোনো বস্তুই এর মহাকর্ষ বলয় ভেদ করে বের হতে পারেনা। এমনকি আলো পর্যন্তও এর ভেতর থেকে বের হতে পারে না।আমরা জানি যে কোনো বস্তুকে অন্য আরেকটি বস্তুর মহাকর্ষ বলয় ভেদ করতে হলে তার নির্দিষ্ট পরিমাণ মুক্তিবেগ দরকার। অর্থাত্ এই নির্দিষ্ট পরিমাণ বেগে বস্তুটি উপরের দিকে যাত্রা শুরু করলে সেটি অন্য বস্তুর মহাকর্ষ অতিক্রম করতে পারবে। যেমন পৃথিবীর মুক্তিবেগ হলো সেকেন্ড প্রায় ১১ কিলোমিটারের মতো। কোনো বস্তু যদি এই পরিমাণ বা এর চেয়ে বেশি বেগে পৃথিবীর বিপরীতে যাত্রা করে তবে তা আর পৃথিবীতে ফিরে আসবেনা। এই কৌশলটা কাজে লাগিয়েই কৃত্রিম উপগ্রহ মহাকাশে স্থাপন করা হয়। আলোর বেগ হলো সেকেন্ডে প্রায় তিন লক্ষ কিলোমিটার!! অর্থাত্ অতি সহজেই এটি পৃথিবীর মহাকর্ষ অতিক্রম করতে পারবে। কিন্তু যদি এমন হয় যে কোনো বস্তুর মুক্তিবেগ এর চাইতেও বেশি?? নিশ্চয়ই আলোও এর থেকে বের হতে পারবে না!!! এই বস্তুটাই কৃষ্ণগহ্বর। যার থেকে আলো পর্যন্তও বের হয় না। এজন্যই মুলত ব্ল্যাকহোলের ভেতরটা সম্পুর্ন কালো দেখা যায়। এজন্যই এর নাম দেয়া হয়েছে “কালো গহ্বর”।



ইংরেজিতে BlackHole. যেহেতু বিশাল পরিমাণ মহাকর্ষের কারনে এর সৃষ্টি হয় তাই এর সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের আগে “মহাকর্ষ” জিনিসটা আসলে কি? তা আগে জানতে হবে।যদিও আমরা সবাই জানি যে মহাকর্ষ এক ধরনের বল যা প্রত্যেকটা বস্তুর মধ্যেই বিদ্যমান। কিন্তু এটা হলো নিউটনের ধারনা।সত্য হলো এই ধারনাটা আসলে আংশিক সঠিক,অর্থাত্ এই ধারনার মধ্যে সামান্য ভুল রয়েছে। এর ভুলটা ধরার জন্য আমাদের নিউটনকে ছেড়ে আইনস্টাইনের ধারনায় যেতে হবে। ভুলটা হলো মহাকর্ষ আসলে কোনো বল না। এটি হলো আমাদের চারপাশের স্থান কালের সংকোচনের ফলে সৃষ্ট একটি গর্তের মতো। স্থান কালের সংকোচনের কারনে বস্তুর চারপাশে ঢালু জায়গা সৃষ্টি হয় যার কারনে আশেপাশের বস্তুসমুহ ওই বস্তুটার দিকে ধাবিত হয়।নিচের চিত্র দেখলে ব্যাপারটা অনেকটা পরিস্কার হয়ে যাবে-
এই ধারনার প্রবর্তক হলেন মহান বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইন। তিনি আমাদের চারপাশের স্থানকে একটি চাদরের সাথে তুলনা করেছেন এবং বলেছেন ভরসম্পন্ন বস্তু এই স্থান-কালের মধ্যে বিকৃতি ঘটায় এবং এটাকে খানিকটা নিচের দিকে সংকুচিত করে ফেলে। যেই বস্তুর ভর বেশি সেটা বেশি সংকোচন ঘটায় এবং চারপাশের বস্তুসমুহ এর দিকে বেশি আকর্ষণ অনুভব করে যেহেতু সংকোচন যত বেশি ঢালুর পরিমাণও তত বেশি। এই স্থান-কালকে(Space Time) আইনস্টাইন বস্তুর চতুর্থ মাত্রা হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন। যেখানে স্থান এবং সময় জড়িয়ে এক হয়ে গেছে। বস্তুর অন্য তিনটি মাত্রা হলো দৈর্ঘ্য,প্রস্থ এবং উচ্চতা।সময় হলো বস্তুর পঞ্চম মাত্রা। সময় আসলে পরম কিছু নয়,এটিও আপেক্ষিক এরও বিকৃতি ঘটানো সম্ভব। এগুলোই ছিলো মুলত আইনস্টাইন এর আপেক্ষিক তত্তের মুল বিষয়-বস্তু। অর্থাত্ আমরা যদি কোনদিন পঞ্চম মাত্রায় যেতে পারি তবে আমরাও দৈর্ঘ্য,প্রস্থ উচ্চতার মতো সময়কেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবো।ইচ্ছে করলেই ভবিষ্যতে চলে যেতে পারবো বা অতীতেও ফিরে যেতে পারবো। তো এতক্ষণে আমরা মহাকর্ষ এবং এর উৎপত্তি নিয়ে আইনস্টাইন এর ধারনাটা আলোচনা করছিলাম।কিন্তু এটাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে এর পক্ষে প্রমান দরকার। এইটা পরীক্ষা করে দেখা দরকার যে আসলেই বস্তুর ভর তার চারপাশের স্থান-কালকে বাকিয়ে দেয় কিনা? আইনস্টাইনের জেনারেল থিওরি অফ রিলেটিভিটি তে ১৯১৫ সালে তিনি এই ধারনাটা প্রথম উপস্থাপন করেন। তখন খুব অল্পসংখ্যক মানুষ ছাড়া কেউ এই তত্ত্বকে স্বীকার করেনি।অর্থাত্ এটি প্রমাণ করার দরকার ছিল। কিন্তু বাহ্যিকভাবে আমরা এটাকে প্রমাণ করার কোনো উপায়ই দেখিনা। তাই এটিকে প্রমাণ করার জন্য এই স্থান কালের সংকোচন থেকেই একটি তত্ত্ব সামনে এলো,একে বলা হয় গ্যাভিটেশনাল লেন্সিং।আমরা জানি আলো সরলপথে চলে।আসলে আলো স্থান কালের মধ্যে দিয়েই সরল পথে চলে।এখন যদি এমন হয় যে আলোর চলার পথটিই বাঁকা হয়ে গেলো?তাহলে নিশ্চয়ই আলোও বাকা হয়ে যাবে?? আসলে সত্যিকারে তাই হয়। নিচের চিত্র খেয়াল করুন- চিত্র:গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিংচিত্র:গ্র্যাভিটেশনাল লেন্সিং চিত্রে আমাদের সৌরজগত, এবং সুর্যের পিছনে একটি অন্য নক্ষত্র দেখা যাচ্ছে। এখন নক্ষত্রটি যেহেতু সুর্যের ঠিক পিছনে,তাই আমাদের এটা দেখার কথা নয়?নক্ষত্রটা জলন্ত, অর্থাত্ এর আলো আমাদের দিকে আসছে,সরলপথে। কিন্তু মাঝখানে সুর্যের অতিরিক্ত ভরের কারনে স্থান-কাল বেঁকে গেছে।অর্থাত্ পিছনের নক্ষত্রটির আলো এইপর্যন্ত এসে এরপর বেঁকে যাওয়ার কথা।অর্থাত্ নক্ষত্রটি পৃথিবীর সোজাসুজি না হলেও আমরা এর আলো দেখা উচিত?? সত্যিকার অর্থে তাই হয়,কিন্তু সুর্যের অতিরিক্ত আলোর কারনে এই আলো আমরা দেখতে পাইনা। কিন্তু আপেক্ষিক তত্ত্ব প্রমান করার জন্য এটা জরুরি!আমাদের যেকোনো ভাবেই হোক,পিছনের নক্ষত্রটাকে দেখতেই হবে। ঠিক এটাই হয় ১৯১৯ সালে সুর্যগ্রহনের সময়। চাঁদ এবং সুর্য একই সরলরেখায় চলে আসার কারনে চাঁদের কারনে সুর্য আধারে ঢেকে যাওয়াকে সুর্যগ্রহন বলে। গ্রহনের মাঝামাঝি সময়ে যখন সুর্য চাঁদ দ্বারা সম্পুর্ন ঢেকে যায় তখন পৃথিবীতে আধার নেমে আসে,আর এই সময়টাই পিছনের নক্ষত্রটাকে দেখার উত্তম সময়!! ১৯১৯ সালে ব্রাজিলে এই ঘটনাটিই ঘটে। সুর্য ঢেকে যাওয়ার পর আংশিক আধারে দেখা মিলে কাঙ্ক্ষিত নক্ষত্রটি,প্রমান হয়ে যায় আইনস্টাইন এর আপেক্ষিক তত্ত্ব। মহাকর্ষকে মানুষ নতুন করে চিনতে শুরু করে। যেই মানুষটি এই পরীক্ষাটি সম্পন্ন করেছিলেন তার নাম হলো স্যার আর্থার এডিংটন।চিত্র:স্যার আর্থার এডিংটনচিত্র:স্যার আর্থার এডিংটনআপেক্ষিককতা প্রমাণ হওয়ার পর আইনস্টাইন রাতারাতি নায়ক বনে যান। বিভিন্ন জায়গা থেকে সংবর্ধনা পেয়ে থাকেন। এবার আমাদের আলোচনার বিষয়ে ফিরে আসি। ভরের আধিক্যের কারনে স্থান-কালের এরকম বেঁকে যাওয়ার জন্যই ব্ল্যাকহোলের সৃষ্টি। যেই নক্ষত্রগুলো পরবর্তীতে ব্ল্যাকহোল হতে পারে তাদের ভর এত বেশি হয় যে তারা স্থান-কালের মধ্যে অসীম পরিমাণ গর্ত সৃষ্টি করে এবং কোনো বস্তুই এর ভেতর থেকে বের হতে পারে না।এগুলো নিয়ে পরের পর্বে আলোচনা করবো তার আগে আমাদের নিজেদের সসীম মহাকর্ষ নিয়ে আলোচনা করেই পর্ব শেষ করছি। এতক্ষণে আমরা মহাকর্ষ সম্পর্কে জেনেছি,কোনো ভারি বস্তু যে তার আশে পাশের বস্তুসমুহকে কেন আকর্ষণ করে তা জেনেছি।এখন একটা উদাহরণ কল্পনা করা যাক-পৃথিবী কতৃক তার আশেপাশের স্থান কালের সংকোচনের কারনেই চাঁদ পৃথিবীর চার পাশে প্রদক্ষিন করতে থাকে এবং পৃথিবী থেকে দুরে ছিটকে যায় না। এখন প্রশ্ন হল চাঁদ তাহলে পৃথিবীতে পড়ে যায় না কেন?? এর উত্তরটা খুবই সহজ,তা হলো চাঁদ যখন পৃথিবীকে প্রদক্ষিন করতে থাকে তখন এর মধ্যে দুইটা বলের সৃষ্টি হয়। একটি কেন্দ্রমুখী বল(Centripital Force) আরেকটি কেন্দ্রবিমুখী বল(Cenrifugal Force) যা তাকে কেন্দ্রের থেকে দুরে ঠেলে দেয়। এই কেন্দ্রবিমুখী বলের কারনেই চাঁদ পৃথিবীতে আছড়ে পড়ে না। এতক্ষণে নিশ্চয়ই কৃষ্ণগহ্বর সৃষ্টির কারটা বুঝে গেছেন? আজকে এপর্যন্ত সীমাবদ্ধ রাখছি। আগামী পর্বে কৃষ্ণগহ্বর সৃষ্টি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করবোPost Related Things: ব্ল্যাক হোল কি, ব্লাক হোল রহস্য, ব্লাক হোল কে আবিষ্কার করেন, ব্ল্যাক হোল তথ্য, কৃষ্ণগহ্বর কি, black hole, black hole কি, কৃষ্ণগহ্বর


বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট | Bangabandhu-1


বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট  Bangabandhu-1 সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যনির্মাতা প্রতিষ্ঠান: ৩.৭ টন ওজনের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটটির ডিজাইন এবং তৈরি করেছে ফ্রান্সের কোম্পানি থ্যালাস অ্যালেনিয়া স্পেস। স্যাটেলাইটের কাঠামো তৈরি, উৎক্ষেপণ, ভূমি ও মহাকাশের নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, ভূ-স্তরে দুটি স্টেশন পরিচালনার দায়িত্ব এ প্রতিষ্ঠানটির।
স্যাটেলাইটের ধরণ: মহাকাশে প্রায় ৫০টির উপর দেশের দুই হাজারের উপর স্যাটেলাইট বিদ্যমান। এগুলোর মধ্যে রয়েছে-আবহাওয়া স্যাটেলাইট, পর্যবেক্ষক স্যাটেলাইট, ন্যাভিগেশন স্যাটেলাইট ইত্যাদি। তবে বিএস-ওয়ান হল যোগাযোগ ও সম্প্রচার স্যাটেলাইট।
স্যাটেলাইটের কাজ: টিভি চ্যানেলগুলোর স্যাটেলাইট সেবা নিশ্চিত করাই বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের প্রধান কাজ। এর সাহায্যে চালু করা যাবে ডিটিএইচ বা ডিরেক্ট টু হোম ডিশ সার্ভিস। এছাড়া যেসব জায়গায় অপটিক কেবল বা সাবমেরিন কেবল পৌছায় নি সেসব জায়গায় এ স্যাটেলাইটের সাহায্যে নিশ্চিত হতে পারে ইন্টারনেট সংযোগ।
অর্থায়ন: প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৯০২ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হচ্ছে ১৫৪৪ কোটি টাকা, বাকি ১৩৫৮ কোটি টাকা হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) বিডার্স ফিনান্সিং এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
উৎক্ষেপণকারী প্রতিষ্ঠান ও উৎক্ষেপণকারী রকেট: মার্কিন রকেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স এই স্যাটেলাইটটি উৎক্ষেপণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরালে কেনেডি স্পেস সেন্টারে স্পেসএক্সের লঞ্চ প্যাড থেকে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১  ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটে করে উৎক্ষেপণ করা হয়।
স্যাটেলাইটের ফুটপ্রিন্ট: বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের অবস্থান ১১৯.১ ডিগ্রী পূর্ব দ্রাঘিমার কক্ষপথে। এর ফুটপ্রিন্ট বা কভারেজ হবে ইন্দোনেশিয়া থেকে তাজিকিস্তান পর্যন্ত বিস্তৃত। শক্তিশালী কেইউ ও সি ব্যান্ডের মাধ্যমে এটি সবচেয়ে ভালো কাভার করবে পুরো বাংলাদেশ, সার্কভুক্ত দেশসমূহ, ফিলিপাইন এবং ইন্দোনেশিয়া।
মহাকাশে কেনা হয় কক্ষপথ: ১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি অরবিটাল স্লটে (নিরক্ষরেখায়) উড়বে বাংলাদেশের প্রথম স্যাটেলাইট। স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের জন্য ইন্টারস্পুটনিকের কাছ থেকে ১৫ বছরের জন্য অরবিটাল স্লট বা নিরক্ষরেখা (১১৯ দশমিক ১ ডিগ্রি পূর্ব) লিজ নিয়েছে বাংলাদেশ। দুই কোটি ৮০ লাখ ডলার ব্যয়ে এ স্লট বরাদ্দ নেওয়া হয়েছে।
বিএস-ওয়ানের খরচ: প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে প্রায় ২৯০২ কোটি টাকা। সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে জোগান দেওয়া হচ্ছে ১৫৪৪ কোটি টাকা, বাকি ১৩৫৮ কোটি টাকা হংকং সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) বিডার্স ফিনান্সিং এর মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে।
সুযোগ সুবিধা সমূহ
দেশীয় অর্থ সাশ্রয়:
বর্তমানে দেশের স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল, ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ভি-স্যাট ও ইত্যাদি সংস্থা বিদেশি স্যাটেলাইট ব্যবহার করছে। বহির্বিশ্বের বিভিন্ন স্যাটেলাইট অপারেটরের কাছ থেকে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপন্ডার ভাড়া বাবদ প্রতি বছর প্রায় ১৪ মিলিয়ন ইউএস ডলার ব্যয় করে থাকে। অনুমোদন পাওয়া আরও স্যাটেলাইট চ্যানেলের সম্প্রচার শুরু হলে এ ভাড়া আরও বাড়বে। শুধু ব্রডকাস্টিং চাহিদার পূরণে প্রতি বছর কোটি কোটি টাকা দেশের বাইরে চলে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হলে এ অর্থ দেশেই রাখা সম্ভব হবে। তখন এই অর্থ প্রতি বছর রাজস্ব হিসেবে আয় হবে।
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন:
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের ৪০টি ট্রান্সপন্ডার ক্যাপাসিটি থাকবে। এর মধ্যে ২০টি ট্রান্সপন্ডার বাংলাদেশের ব্যবহারের জন্য রাখা হবে। বাকি ট্রান্সপন্ডার বিক্রি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব হবে।
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্প্রচার সেবার প্রসার সহজ হবে:
প্রত্যন্ত অঞ্চলে সম্প্রচার সেবার প্রসার সহজ এবং বৈশ্বিক টেলিযোগাযোগের ক্ষেত্রে পরনির্ভরশীলতার অবসান হবে। এছাড়া দুর্যোগপ্রবণ বাংলাদেশে নিরবচ্ছিন্ন টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।

ব্রডকাস্টিং সেবায় খরচ কমবে:
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ হলে বিদেশি স্যাটেলাইটের ভাড়া ছাড়াই প্রত্যন্ত অঞ্চলে অনেক কম মূল্যে ব্রডকাস্টিং সেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এ ছাড়া টেলিমেডিসিন, ই-লার্নিং, ই-গবেষণা, ভিডিও কনফারেন্স, প্রতিরক্ষা ও দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় জরুরি যোগাযোগের ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট।
 
0K
 
0K
 
0
 
0
I BUILT MY SITE FOR FREE USING