যারা ভোগেন কেবল তারাই বোঝেন এটি কত যন্ত্রণার। একটু ভাজাপোড়া অথবা দাওয়াত, পার্টিতে মসলাযু্ক্ত খাবার খেলে তো শুরু হয়ে যায় অস্বস্তিকর গ্যাসের সমস্যা। ফাস্ট ফুড, ব্যস্ত জীবনযাত্রার যুগে গ্যাস, পেটের অসুখ এখন ঘরোয়া রোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো বাসায় গেলেই গ্যাস্ট্রিকের ১ পাতা ওষুধ অবশ্যই পাওয়া যায়। তবে কী গাদা গাদা গ্যাসের ওষুধে এ সমস্যা দূর হয়! কিন্তু ঘরোয় কিছু উপায় আছে যেগুলি প্রয়োগ করলে গ্যাস, বুক জ্বালা থেকে সহজেই বাঁচা যায়।১. শসা : শসা পেট ঠাণ্ডা রাখতে অনেক বেশি কার্যকরী খাদ্য। এতে রয়েছে ফ্লেভানয়েড ও অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা পেটে গ্যাসের উদ্রেক কমায়।২. দই : দই আমাদের হজম শক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে করে দ্রুত খাবার হজম হয়, ফলে পেটে গ্যাস হওয়ার ঝামেলা দূর হয়। ৩. পেঁপে : পেঁপেতে রয়েছে পাপায়া নামক এনজাইম যা হজমশক্তি বাড়ায়। নিয়মিত পেঁপে খাওয়ার অভ্যাস করলেও গ্যাসের সমস্যা কমে। ৪. কলা ও কমলা : কলা ও কমলা পাকস্থলির অতিরিক্ত সোডিয়াম দূর করতে সহায়তা করে। এতে করে গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও কলার সলুবল ফাইবারের কারণে কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ক্ষমতা রাখে। সারাদিনে অন্তত দুটি কলা খান। পেট পরিষ্কার রাখতে কলার জুড়ি মেলা ভার। ৫. আদা : আদা সবচাইতে কার্যকরী অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানসমৃদ্ধ খাবার। পেট ফাঁপা এবং পেটে গ্যাস হলে আদা কুচি করে লবণ দিয়ে কাঁচা খান, দেখবেন গ্যাসের সমস্যা সমাধান হবে। ৬. ঠাণ্ডা দুধ : পাকস্থলির গ্যাসট্রিক এসিডকে নিয়ন্ত্রণ করে অ্যাসিডিটি থেকে মুক্তি দেয় ঠাণ্ডা দুধ। এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করলে অ্যাসিডিটি দূরে থাকে। ৭. দারুচিনি : হজমের জন্য খুবই ভালো। এক গ্লাস পানিতে আধ চামচ দারুচিনির গুঁড়ো দিয়ে ফুটিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খেলে গ্যাস দূরে থাকবে। ৮. জিরা : জিরা পেটের গ্যাস, বমি, পায়খানা, রক্তবিকার প্রভৃতিতে অত্যন্ত ফলপ্রদ। জ্বর হলে ৫০ গ্রাম জিরা আখের গুড়ের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে ১০ গ্রাম করে পাঁচটি বড়ি তৈরি করতে হবে। দিনে তিনবার এর একটি করে বড়ি খেলে ঘাম দিয়ে জ্বর সেরে যাবে। ৯. লবঙ্গ : ২/৩টি লবঙ্গ মুখে দিয়ে চুষলে একদিকে বুক জ্বালা, বমিবমিভাব, গ্যাস দূর হয়। সঙ্গে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। ১০. এলাচ : লবঙ্গের মতো এলাচ গুঁড়ো খেলে অম্বল দূরে থাকে। ১১. পুদিনা পাতার পানি : এক কাপ পানিতে ৫টা পুদিনা পাতা দিয়ে ফুটিয়ে খান। পেট ফাঁপা, বমিভাব দূরে রাখতে এর বিকল্প নেই। ১২. মৌরির পানি : মৌরি ভিজিয়ে সেই পানি খেলে গ্যাস থাকে না। এ ছাড়াও খাবারে সরষে যোগ করুন : সরষে গ্যাস সারাতে করতে সাহায্য করে। বিভিন্ন খাবারের সাথে সরষে যোগ করা হয় যাতে সেইসব খাবার পেটে গ্যাস সৃষ্টি করতে না পারে। নজর রাখতে হবে নিজের খাওয়া-দাওয়ার প্রতি। জেনে নিতে হবে কোনটি খাওয়া উচিত হবে কোনটি হবে না।
গ্যাসের সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি পেতে ১০টি ঘরোয়া ওষুধ
আপনি কি প্রায়ই অ্যান্টাসিড ওষুধ খেতে খেতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন? পাকিস্থলির গ্যাস্ট্রিক গ্ল্যান্ডে অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণ হলে পেটে অ্যাসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। সাধারণত খাবার খাওয়ায় দীর্ঘ বিরতি, খালি পেটে থাকা বা অতিরিক্ত চা, অ্যালকোহল বা কফি পানের কারণে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এছাড়া মশলাদার খাবার খাওয়া, ভাজা-পোড়া খাবার, খাবার খাওয়ায় অনিয়ম, অতিরিক্ত মদপান, স্ট্রেস, ধুমপান, রাতে ঘুামনোর সময় খাবার খাওয়া, খাবার খাওয়ার পরপরাই শুয়ে পড়া প্রভৃতি কারণেও পেটে গ্যাস হতে পারে। গ্যাসের কারণে পেট ফুলে যাওয়া, বুকে জ্বালা-পোড়া, হেঁচকি ওঠা, ঢেকুর এবং ওগরানোর মতো সমস্যা হতে পারে। তবে এমন ১০টি ঘরোয়া ওষুধ রয়েছে যেগুলো আপনাকে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা থেকে চিরদিনের জন্য মুক্তি দিতে পারে।১. কলাএতে আছে প্রচুর পটাশিয়াম এবং প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা এসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে একটি বাফার বা প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। প্রতিদিন একটি করে কলা খেলেই আপনার আর কখনো গ্যাস-অম্বলের সমস্যা হবে না।
২. তুলসি পাতা তুলসি পাতা পাকস্থলিতে শ্লেষ্মার মতো পদার্থ উৎপাদন বাড়াতে উদ্দীপনা যোগায়। এর রয়েছে শীতলীকরন এবং বায়ুনাশক উপাদান যা গ্যাস্ট্রিক এসিডের কার্যকারিতা কমাতে সহায়ক। গ্যাসের সমস্যা হলেই ৫-৬টি তুলসি পাতা চিবিয়ে খেয়ে ফেলুন। অথবা ৩-৪টি তুলসি পাতা সেদ্ধ করে পানিটুকু মধু দিয়ে পান করুন। ৩. দারুচিনি বেশিরভাগ হজমজনতি সমস্যার ওষুধ দারুচিনি। এতে আছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায় এবং শোষণক্রিয়াকে শক্তিশালি করে। আধা চা চামচ দারুচিনি গুড়ো এক কাপ পানিতে মিশিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর ঠাণ্ডা করে পান করুন। প্রতিদিন এভাবে তিনবার দারুচিনি জুস পান করুন। ৪. পুদিনা পাতা এসিড নিঃসরণের গতি কমায় এবং হজম ক্ষমতা বাড়ায় পুদিনা পাতা। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও আছে। যা এসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যথা এবং জ্বালাপোড়া কমায়। কয়েকটি পুদিনা পাতা কুচি কুচি করে একটি পাত্রে পানি নিয়ে সেদ্ধ করে নিন। এরপর পানিটুক ছেঁকে ঠাণ্ডা করে পান করুন। ৫. মৌরি বীজ তাৎক্ষণিকভাবে এসিড কমিয়ে স্বস্তি এন দেয় মৌরি বীজ। খাবার খাওয়ার পর এই বীজ চিবিয়ে খেলে এই উপকার পাওয়া যায়। বদহজম এবং পেট ফাঁপার চিকিৎসায়ও এটি বেশ কার্যকর। আধাকাপ পানিতে কয়েকটি মৌরি বীজ নিয়ে সেদ্ধ করে পানিটুকু পান করুন। ৬. ঘোল এটি তাৎক্ষণিকভাবে এসিড কমিয়ে স্বস্তি এনে দেয়। এতে থাকা ক্যালসিয়াম পাকস্থলিতে এসিড জমা হওয়া প্রতিরোধ করে। এর সঙ্গে গোল মরিচ যোগ করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যাবে। এতে থাকা ল্যাকটিক এসিড হজম প্রক্রিয়াকেও শক্তিশালী করে। ৭. লবঙ্গ এটি পাকিস্থলিতে গ্যাস উৎপাদন প্রতিরোধ করে। প্রতিদিন দুটি লবঙ্গ চিবিয়ে খেলে আপনি গ্যাসের সমস্যা চিরতরে থেকে মুক্তি পাবেন। ৮. ডাবের পানি ডাবের পানি পাকস্থলিতে শ্লেষ্মা উৎপাদনে সহায়ক। যা পাকস্থলিকে অতিরিক্ত গ্যাস সৃষ্টির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। নিয়মিত ডাবের পানি পান করলে দেহের পিএইচ অ্যাসিডিক লেভেল ক্ষারীয় হয়ে যায়। ফলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা দূর হয়। ৯. ঠাণ্ডা দুধ ঠাণ্ডা দুধ খেলে পাকস্থলির গ্যাস্ট্রিক এসিড স্থিতিশীল হয়ে আসে। দুধে আছে ক্যালসিয়াম যা পাকস্থলিতে এসিড তৈরি প্রতিরোধ করে। সুতরাং অ্যাসিডিটির সমস্যা হলেই এক গ্লাস ঠাণ্ডা দুধ পান করুন। ১০. এলাচ এলাচ হজম ক্ষমতা বাড়াতে এবং পাকস্থলির খিঁচুনি দূর করতে সহায়ক। এটি অতিরিক্ত এসিড নিঃসরণের কুপ্রভাব দূর করে। দুটি এলাচ গুড়ো করে পানিতে সেদ্ধ করে পানিটুক পান করে নিন।
আপনার লিভার ভালো নেই বুঝবেন যে লক্ষণগুলো দেখে
আপনি খুব ভালো করেই জানেন যে লিভার দেহের খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। যার কাজ হলো দেহে প্রবেশ করা টক্সিন বা বিষ বর্জ্যে রূপান্তরিত করা। যে বর্জ্য পরে প্রস্রাব ও পায়খানার সঙ্গে বের হয়ে আসে। আর এটা খুবই জরুরি একটি কাজ। কেননা খাদ্যের সঙ্গে আমাদের দেহে প্রচুর পরিমাণে টক্সিন প্রবেশ করে।তবে বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লিভারের কর্মক্ষমতা কমে আসতে থাকে। অথবা কোনো ভাইরাস বা রোগের কারণেও লিভারের কার্যক্ষমতা কমে আসে। ফলে দেহ থেকে যথাযথভাবে টক্সিন বের করে দেওয়ায়ও অক্ষম হয়ে পড়ে সেটি।তখন এসব ক্ষতিকর টক্সিন চর্বি হিসেবে পেটে জমা হয়। লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমা হলে ফ্যাটি লিভার রোগ সৃষ্টি হতে পারে। লিভার প্রাকৃতিকভাবেই একটি চর্বিবহুল অঙ্গ। আর লিভারে সব সময়ই কিছু না কিছু চর্বি থাকা উচিত। ফ্যাটি লিভার রোগ হয় তখনই যখন লিভারের চর্বি এর নিজের মোট ওজনের ৫% থেকে ১০% বেশি হয়। যখনই আপনার লিভার টক্সিন নিঃসরণে ভালো মতো কাজ করবে না তখন আপনি ওজন কমানোর জন্য যতই কম ক্যালরি খান না কেন বা যত বেশিই শরীরচর্চা করেন না তাতে কোনো কাজ হবে না। লিভারই মূলত চর্বি হজমের কাজ করে। আর যখন এটি ঠিক মতো কাজ করবে না তখন চর্বিগুলো অন্ত্র থেকে পিত্ত হয়ে ফের লিভারে এসে জমা হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক লিভার ভালো না থাকার শীর্ষ লক্ষণগুলো কী… ১. অকারণে ওজন বেড়ে যাওয়া লিভার যেহেতু চর্বি হজমের জন্য প্রধানত দায়ী সেহেতু এটি যথাযথভাবে কাজ না করলে দেহে চর্বি জমতে থাকে। যার ফলে ব্যাখ্যাতীতভাবে অকারণে ওজন বাড়তে থাকে। ২. অ্যালার্জি লিভার ভালো থাকলে তা এমন সব অ্যান্টিবডি তৈরি করে যেগুলো অ্যালার্জেন বা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে আক্রমণ করে ধ্বংস করে। কিন্তু লিভারের কার্যক্ষমতা কমে গেলে দেহ ওই অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদানগুলোকে জমা করতে থাকে। এর প্রতিক্রিয়ায় আবার দেহ হিস্টামিন উৎপাদন করতে থাকে যা অ্যালার্জি সৃষ্টিকারক উপাদানগুলো দূর করতে কাজ করে। কিন্তু অতিরিক্ত হিস্টামিন উৎপাদন হলে আবার চুলকানি, ঝিমুনি এবং মাথা ব্যথা হতে পারে। ৩. ক্রমাগত অবসাদ দেহে টক্সিন জমা হলে তা মাংসপেশির টিস্যুর বিপাকীয় প্রক্রিয়ায় বাধার সৃষ্টি করে। যা থেকে আবার ব্যাথা এবং শারীরিক অবসাদও সৃষ্টি হতে পারে। ক্লান্তি থেকে মেজাজ খিটখিটে হওয়া, মানসিক অবসাদ এবং ক্ষোভের বিস্ফোরণের মতো সমস্যাও তৈরি হতে পারে। লিভার ভালো না থাকার শীর্ষ লক্ষণগুলোর একটি এটি। দেহে অতি উচ্চ মাত্রায় টক্সিন বা বিষ জমা হওয়ারও একটি লক্ষণ এটি। ৪. অতিরিক্ত ঘাম বের হওয়া বেশি বেশি কাজ করার কারণে লিভারের কার্যক্ষমতা কমে যায় এবং সেটি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন লিভার দেহের অন্যান্য অঙ্গেও তাপ ছড়িয়ে দেয় এবং অতিরিক্ত ঘাম বের করার মাধ্যমে লিভার নিজেকে ঠাণ্ডা করে। ৫. ব্রণ লিভারে জমা হওয়া টক্সিন দেহে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট করতে যারে। যা থেকে ত্বকে ব্রণ সৃষ্টি হতে পারে। কার্যক্ষমতা হারানো লিভারের কারণে সৃষ্ট ত্বকের এই সমস্যা ততক্ষণ পর্যন্ত যাবে না যতক্ষণ না পুনরায় লিভারের কার্যক্ষমতার উন্নতি ঘটানো হবে। ৬. দুর্গন্ধযুক্ত নিঃশ্বাস মুখের স্বাস্থ্য ভালো থাকার পরেও যদি আপনার নিঃশ্বাসের সঙ্গে দুর্গন্ধ বের হয় তাহলে বুঝবেন যে আপনার লিভারের কোনো সমস্যা আছে। লিভারের স্বাস্থ্য ভালো না থাকার একটি লক্ষণ এটি। ফ্যাটি লিভার রোগের চিকিৎসা : ফ্যাটি লিভার রোগ সারানো সম্ভব শুধুমাত্র যথাযথ স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে। ড্যান্ডেলিয়ন বা ডেইজি জাতীয় হলুদ ফুলের গাছের মূল, কলা, মিষ্টি আলু, যকৃত এবং আদা ফ্যাটি লিভার রোগ দূরীকরণে বেশ কার্যকর। সূত্র : বোল্ড স্কাই
শিক্ষাক্ষেত্রে অল্প সময়ে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে: শিক্ষামন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক | শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, শিক্ষাক্ষেত্রে অতি অল্প সময়ে বিপুল পরিবর্তন হয়েছে। প্রায় শতকরা ১০০ ভাগ এনরোলমেন্ট সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নতি করছে। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে এবং খাদ্য ও বিদ্যুৎ উৎপাদনে বাংলাদেশ অনেক অগ্রগতি অর্জন করেছে। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে বিশ্ববিদ্যালয়ের জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী একথা বলেন। জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ তিনদিনব্যাপী এ উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, জাপান বাংলাদেশের একক বৃহত্তম উন্নয়ন অংশীদার। শুধু আর্থিক ক্ষেত্রেই নয়, কারিগরি, শিক্ষাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে জাপান বাংলাদেশকে সহযোগিতা করছে। দেশকে গড়ে তোলার ক্ষেত্রে জাপানের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।জাপানকে বাংলাদেশের খুবই ঘনিষ্ট বন্ধু উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় জাপানের সংবাদ মাধ্যম মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাধীনতার পরপরই জাপান বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। তখন থেকেই জাপানের সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগ জাপান সম্পর্কে জানার এবং আরো ঘনিষ্ট হওয়ার সুযোগ তৈরি করে দেবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হয়েছে। ২০২১ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ খ্রিস্টাব্দের দক্ষিণ এশিয়ায় একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিনত হওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য জগতের অন্যান্য দেশের শিক্ষা, অভিজ্ঞতা ও অর্জন আমাদের কাজে লাগাতে হবে। জাপান এক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ। জাপান মেধা ও প্রযুক্তির বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত উন্নত দেশে পরিনত হয়েছে। উন্নয়নের ক্ষেত্রে জাপান একটি উদাহরণ। জাপানিজ স্টাডিজ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. আবুল বারকাতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আখতারুজ্জামান, বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত হিরোয়াসু ইজুমি, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর ড. নাসরিন আহমাদ ও উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ সামাদ এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সাদেকা হালিম।
কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ নিজস্ব প্রতিবেদক | বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগের বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুলাই) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় বয়সসীমার বিষয়ে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভা শেষে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (মাদরাসা) রওনক মাহমুদ বলেন, কারিগরি ও মাদরাসায় শিক্ষক নিয়োগে বয়সসীমা ৩৫ বছর করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত আলাদা দুটি নীতিমালা তৈরি করা হচ্ছে। নীতিমালায় বেসরকারি স্কুল কলেজের শিক্ষক নিয়োগের মতোই বিধি থাকছে। খসড়া চূড়ান্ত করা হলেও মঙ্গলবার সভায় শিক্ষকদের নিয়োগের বয়সসীমার বিষয়টি যুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। সে সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী বেসরকারি মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩৫ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, বেসরকারি এমপিও নীতিমালার সঙ্গে মাদরাসা ও কারিগরি নীতিমালায় সার্বিক মিল থাকলেও এতে শিক্ষকদের নতুন পদ সৃজন করা হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির পর সেসব প্রতিষ্ঠানে এসব শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। সংশ্লিষ্ট সচিব, প্রতিমন্ত্রী ও মন্ত্রী অনুমোদন দিলে নীতিমালাটি আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে। এরপর কারিগরি ও মাদরাসায় নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিভুক্তির জন্য আবেদন কার্যক্রম শুরু হবে। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১২ জুন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (স্কুল ও কলেজ)- এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ জারি করে। ওই নীতিমালায় শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয় ৩৫ বছর। পাশাপাশি বদলির ব্যবস্থাও রাখা হয়। কিন্তু ‘বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কারিগরি ও মাদরাসা)- এর জনবল কাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০১৮’ বয়সসীমা নির্ধারণ না করায় বিতর্ক দেখা দেয়। প্রশ্ন ওঠে দেশের স্কুল কলেজের শিক্ষকদের নিয়োগ পেতে বয়স ৩৫ বছর থাকবে আর কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষকদের নিয়োগে কোনো বাধ্যবাধকতা থাকবে না, সমমানের পদে নিয়োগে এ বৈষম্য অনৈতিক। বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক উঠলে তা পরিবর্তন করে নতুন করে বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে। শিক্ষকদের বদলি-সংক্রান্ত বিষয়ে জানতে চাইলে রওনক মাহমুদ বলেন, সরকার চাইলে যে কোনো সময় যে কোনো বেসরকারি কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষককে বদলি করতে পারবেন, এ জন্য বদলি নীতিমালা তৈরি করা হয়েছে। অর্থমন্ত্রণালয় নীতিমালাটি অনুমোদন দিয়েছে। মাদরাসা ও কারিগরির ক্ষেত্রে কিছু পার্থক্য আছে। সেগুলো ঠিক করে আগামী সপ্তাহের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।
উইঘুরে মুসলিম নারীদের ওপর নতুন নির্যাতন শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ জুলাই ২০১৮ চীনের উইঘুরে মুসলিম নারীদের ওপর নতুন নির্যাতন শুরু করেছে স্থানীয় পুলিশ। রাস্তায় বের হওয়া নারীদের ধরে জোর করে বোরকা বা রোরকা সদৃশ লম্বা পোশাক কেটে ফেলা হচ্ছে। খবর ইয়ানি শাফাকের।দীর্ঘ দিন ধরে চীনের উইঘুরে মুসলিম নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। রমজান মাসে সেখানে মুসলমানদের রোজা রাখার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা ও মুসলিম প্রথা অনুযায়ী শিশুদের নাম রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।চীনের উইঘুর এলাকায় মুসলিম নারীদের পোশাক কোমরের নিচে ঝুলে থাকলে বা বোরকা সদৃশ হলে তা কেটে নেয়ার নতুন এ নির্যাতন শুরু করেছে পুলিশ। ডকুমেন্টিং এগেইনিস্ট মুসলিম (ডিওএম) নামক একটি সংগঠন জানিয়েছে, মুসলিম নারীদের পোশাক লম্বা হলে রাস্তার মাঝে তাকে ধরে তার পোষাক ছোট করে কেটে দেয়া হচ্ছে।
কড়া নিরাপত্তায় আল আকসা মসজিদ পরিদর্শনে ইসরায়েলি মন্ত্রীরা
চলতি সপ্তাহে আল আকসা মসজিদ পরিদর্শনে গিয়েছে ইসরায়েল পার্লামেন্টের তিন সদস্য। তাদের মাঝে দু’জন মন্ত্রীও রয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনীর কড়া নিরাপত্তার মাঝে তারা মসজিদে প্রবেশ করে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইসরায়েলের পার্লামেন্ট সদস্যদের ওপর আল আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর তারা প্রথমবারের মতো মসজিদ পরিদর্শনে যায়। খবর: আল আরাবিইসরায়েলের কৃষি মন্ত্রী আভারি এরিয়েল লিকুদ পার্টির সদস্য শারেন হাসকেলকে নিয়ে মসজিদে প্রবেশ করে। এসময় তাদের সঙ্গে কয়েকজন ইহুদিও ছিল।গত সপ্তাহে ইসরায়েলের মিডিয়া ঘোষণা করেছে, বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু ইসরায়েলের নেসেট এবং মন্ত্রীদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, নেতানিয়াহু দুই বছর আগে সরকার ও নেসেটের সদস্যদের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করতে নিষেধ করেছিল।
মাত্র ২১ দিনে হাফেজ হয়ে তাক লাগাল সিলেটের মাশহুদ
মাদরাসায় ভর্তির ২১ দিনের মাথায় পূর্ণ কুরআন মাজিদ মুখস্থ করে সিলেটবাসীকে অবাক করে দিয়েছে হাফেজ মাশহুদ হোসাইন।জানা গেছে, সে সিলেট নগরীর কাজীটুলাস্থ মারকাযু শায়খিল ইসলাম আল-আমিন মাদরাসায় গত ১৩ ডিসেম্বর ভর্তি হয়ে কুরআন মুখস্থ করা শুরু করে। মধ্যখানে দু’দিন সিলেট ইজতেমা মাঠে অবস্থান করে পূনঃরায় মুখস্থ করা শুরু করে এবং মোট ২১দিনে ৩০পারা কোরআন শরীফ হিফজ সম্পন্ন করে।হাফেজ মাশহুদ হোসাইনের জন্ম ২০০৬ সালের পহেলা মার্চ। সে কানাইঘাট উপজেলার উত্তর লক্ষীপ্রসাদ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে। তার বাবা আব্দুর রহিম ও একজন হাফিজে কোরআন। ২০১৬ সালে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে এ গ্রেডে উত্তীর্ণ হয়। পরে মা-বাবার আগ্রহে কানাইঘাট থেকে সিলেট কাজীটুলাস্থ মারকাযু শায়খিল ইসলাম মাদরাসায় তাকে ভর্তি করে দেয়া হয়। গত ৬ জানুয়ারি মাদরাসা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে মাদরাসা মসজিদে তার সম্মানে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এদিকে গত ২৮ জানুয়ারি শুক্রবার সিলেট সরকারি আলিয়া মাদরাসা মাঠে অনুষ্ঠিত বিশ্বসেরা হাফিজ ক্বারীদের তেলাওয়াত সম্মেলনে কিশোর বালক মাশহুদ পবিত্র কোরআন শরীফ থেকে তেলাওয়াত করে এসময় হাজার হাজার জনতা তাকে একনজর দেখার জন্য ভিড় জমান। অনেকেই তাকে নগদ টাকা পুরস্কার প্রদান করেন। ইমাম সমিতির আহবানে জনৈক ধর্ম ও শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি তার শিক্ষা অর্জনের যাবতীয় ব্যয়ভার গ্রহনের জন্য সম্মত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পাকিস্তানে স্কুলে কোরআন পাঠকে বাধ্যতামূলক করে আইন পাস
নিউজ :প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পবিত্র কোরআন পাঠ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পাকিস্তানে। এই মর্মে জাতীয় আইনসভায় বিলও পাস হয়েছে।এতে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মুসলিম পড়ুয়াকে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে কোরআন পাঠ করতেই হবে। বিলটি প্রেসিডেন্ট মামনুন হুসেনের স্বাক্ষরের অপেক্ষায় রয়েছে। এরপরেই সেটি আইনে রূপান্তরিত হবে। এই আইন একমাত্র মুসলিম পড়ুয়াদের জন্যই প্রযোজ্য হবে। বিলে বলা হয়েছে, প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের আরবি লিপিতে উর্দু অনুবাদের কোরআন পাঠ করতে হবে৷ ইসলাম পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় ধর্ম। দেশটিতে ধর্ম অবমাননা আইন জারি রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ উঠেছে, আইনটির অপপ্রয়োগ হয়। তার জেরে বিপদে পড়েন পাকিস্তানি সংখ্যালঘু ধর্মাবলম্বী জনসাধারণ।